বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
ওবায়দুল কাদের

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিএনপির চাওয়া পূরণ হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বিএনপির চাওয়া পূরণ হয়নি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বলেছিল, নির্বাচন হবে না আর হলেও সরকার নাকি পাঁচ দিনও টিকবে না। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শুনতে চেয়েছিল, সরকারের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আসবে। বিএনপির সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাদের মিথ্যাচারের ভাঙা রেকর্ড শুনতে শুনতে কান ঝাঁজরা হয়ে গেছে। মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাহায্য না পেয়ে এখন তাদের গলার জোর কমে গেছে। তবে মুখের বিষটা আগের তুলনায় আরও উগ্র হয়েছে। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি, হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে না এসে এখন সব দায় সরকারের ওপর চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাই। বন্ধুর পরিবর্তে যারা প্রভুর ভূমিকায় আসতে চান সেই প্রভুর দাসত্ব আমরা মানি না। এটিই আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। বিএনপির সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দল বৈঠক করলেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে করেনি, এটিকে কোনো সংকট মনে করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মূলত এসেছে সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টার সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। কাজেই এখানে কোনো ঘাটতি আছে বলে আমরা মনে করছি না। তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করেছে কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের মতামত জানাটা প্রয়োজন ছিল। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় দ্বিগুণ ৩০০ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করতে হবে, এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ব সংকটের কারণে সারা দুনিয়াতেই এখন অর্থ সংকট প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঋণ আগের তুলনায় বাড়তে পারে কিন্তু বাংলাদেশ এ যাবৎ ঋণখেলাপি হওয়ার কোনো রেকর্ড রাখেনি। আমরা ঋণখেলাপি থাকব না। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে যেতে পারে এমন আশঙ্কা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির এত উসকানি, এত আন্দোলনের পরও দেশের জনগণ প্ররোচিত হয়নি। কারণ সারা বিশ্বের খবর তারা রাখে। মানুষ বোঝে যে, এখানে সরকারের দোষ নেই। দ্রব্যমূল্য সংকট বাংলাদেশের একার সমস্যা নয়। তবে আমাদের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা এখনো আছে। আশা করছি আসন্ন রমজানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকবে। চাঁদাবাজির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে চাঁদাবাজির ভূমিকা আছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কঠিন বক্তব্য রেখেছেন ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছেন। সবার তৎপরতা বেড়েছে। অর্থনীতিতে সংকট শুরু হলে দ্রব্যমূল্য ওঠানামা করবে, এটি বাজারের ধর্ম। অপেক্ষা করুন। দেশের মানুষ খেতে পারছে। একটি মানুষও না খেয়ে মরেনি। দেশের মানুষ অনেক ভালো আছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর