বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনের অনাস্থাবোধ দূর করা যায়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচনের অনাস্থাবোধ দূর করা যায়নি

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ব্যর্থ করে সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হলেও নির্বাচন সম্পর্কে জনমানুষের যে অনাস্থাবোধ তা দূর করা যায়নি।  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনের গতকালের বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। তখন বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক নেতা রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদী ও এ দেশে তাদের দোসর বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। তবে তারা দেশের অভ্যন্তরে সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সব ধরনের অরাজকতা সৃষ্টির প্রয়াস নিয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও জনগণের প্রতিরোধ তাদের সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছিল। আগুন সন্ত্রাস, ট্রেনে মানুষ পুড়িয়ে মারা, রেললাইন উপড়ে ফেলা নানা জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনটি হয়ে যাওয়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং অসাংবিধানিক ধারার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক বিজয়।

তবে এ কথা সত্য যে, নির্বাচন সম্পর্কে জনমানুষের যে অনাস্থাবোধ তা দূর করা যায়নি। কালো টাকার প্রভাব, বিশেষ সংস্থার নিয়ন্ত্রণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব, শহরাঞ্চলগুলোয় ভোটারদের নগণ্য উপস্থিতি নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুণ্ন করেছে।

মেনন আরও বলেন, এখন সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা। এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনের প্রধান প্রতিশ্রুতির প্রথম প্রতিশ্রুতি। বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙার কোনো কারণ নেই। কারণ কারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের তা জানা। অন্য দলকে এ ব্যাপারে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে সরকারের অর্থনীতির ক্ষেত্রে নয়া উদারনীতিবাদ অনুসরণের ফসল বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই নীতিতে মুষ্টিমেয়র হাতে সম্পদের কেন্দ্রীভবন ঘটে। বাংলাদেশে এই নয়া উদারনীতিবাদেরও বিকৃত প্রয়োগ ঘটছে। দুর্বৃত্তায়িত এই অর্থনীতি বিস্তৃত হয়েছে রাজনীতির ক্ষেত্রেও। সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য দূরে থাক, আওয়ামী লীগ যে মিশ্র অর্থনীতির কথা বলেছে তার থেকে তারা আজ যোজন যোজন দূরে।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, মানবতা থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হলেও তারা আজ বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার প্রতি প্রত্যক্ষ হুমকিতে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের অবশ্যম্ভাবী প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশের ওপর পড়ছে। এই হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অখ তা রক্ষা করা আজ কর্তব্য।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর