বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা
যৌন নির্যাতন

ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

যৌন নির্যাতনের মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে দুই দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। গতকাল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই ফাইয়াজ হোসেন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। এ সময় আসামির আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে ঢাকা মহানগর হাকিম জাকী আল ফারাবী দুই দিন রিমান্ডের আদেশ দেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে বলা হয়, বাবা-মার পরই শিক্ষকের অবস্থান। পরিবারে বাবা-মা আর সামাজিক জীবনে শিক্ষকই হলেন বাবা-মা। তারা যদি এ কাণ্ড করেন তাহলে তাকে কী বলা যায়? তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। রক্ষক এ ক্ষেত্রে ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে বলা হয়, মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকার শিক্ষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত। আজীবন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ওই স্কুলের শিক্ষক রাজনীতির নোংরা শিকার মাত্র। ঘটনার দিন অভিযোগকারী মেয়ের মা স্কুলের বাইরে প্রবেশপথে অবস্থান করছিলেন, কখন এ ঘটনা ঘটল- এমন প্রশ্ন তুলে আসামিপক্ষ বলে, কথিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা মেলেনি। গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিন সদস্যের কমিটি লিখিত প্রতিবেদন দেয়, যেখানে মুরাদকে নির্দোষ বলা হয়। শুনানির সময় কাঠগড়ায় দাঁড়ানো মুরাদকে বিমর্ষ দেখা যায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার মধ্যরাতে ঢাকার কলাবাগানের বাসা থেকে ভিকারুননিসার আজিমপুর শাখার গণিতের এ জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে লালবাগ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। এর আগে সোমবার রাতে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে কোচিং সেন্টারে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সোচ্চার হলে আজিমপুরের দিবা শাখার ওই জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে শনিবার প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। সেদিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ার পর শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়। গণিতের শিক্ষক মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কোচিংয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে ছাত্রীরা আজিমপুর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। দাবি করেন ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও চাকরিচ্যুতির।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর