শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিস দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস

সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে রাজউক

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর বেইলি রোডের সাততলা ভবনটিতে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ জানিয়ে ভবন কর্তৃপক্ষকে তিনবার নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটি পরিদর্শনে গিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

তিনি বলেন, রুটিন মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এর আগে এই ভবন মালিককে তিনবার নোটিস দিয়েছিল ফায়ার সার্ভিস। ভবনটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। মানুষের আসা-যাওয়ার জন্য কেবল একটি ছোট সিঁড়ি ছিল। অগ্নিকাণ্ডের সময় মানুষ যে কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে কোনো জানালা ছিল না।

ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এই ভবনে কোনো ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল না। এ কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ ও বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) প্রকল্পের পরিচালক আশরাফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ভবনটির এক থেকে সাততলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে তা শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য। রেস্তোরাঁ, শো-রুম (বিক্রয়কেন্দ্র) বা অন্য কিছু করার জন্য অনুমোদন নেওয়া হয়নি। গতকাল দুপুরে বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির সামনে উপস্থিত হয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেন, এই ভবনে ফায়ার সেফটি প্ল্যান ছিল কি না আমরা তদন্তে দেখতে চাই। এ ছাড়া ভবন নির্মাণ করতে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছিল কি না তাও আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা তদন্তে দেখতে পাব কীভাবে আগুন লেগেছে এবং এখানে কারও কোনো গাফিলতি ছিল কি না। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ভবনের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। সাত সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর