রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ক্লুনি ফাউন্ডেশন

ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

শান্তিতে নোবেলজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতের মামলাটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার ও আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস। ১ মার্চ প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামীণ টেলিকমের প্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ইউনূসের ‘সক্রিয় উদ্যোগের’ কোনো প্রমাণ না থাকার পরও কথিত শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে অভিযুক্ত করা বা তাঁর বিচার করা উচিত হয়নি।

গতকাল ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিসের এই প্রতিবেদনটি তুলে ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ঢাকার ইউনূস সেন্টার। অস্কার বিজয়ী মার্কিন (হলিউড) অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক জর্জ ক্লুনি ও তাঁর স্ত্রী আইনজীবী আমাল ক্লুনি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার ইস্যুতে ভুক্তভোগীদের আইনি সুরক্ষা দিতে ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ৪০টিরও বেশি দেশে এই ফাউন্ডেশনের দাফতরিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যে রাজনৈতিক পরিবেশে প্রফেসর ইউনূসের বিচার হয়েছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা হয়েছিল, ইউনূস সম্পর্কে সরকারের বক্তব্য, বিচার ত্বরান্বিত করা, গ্রামীণ টেলিকমের অন্যান্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে ইউনূসকে টার্গেট করা, কর্তৃপক্ষের অস্বাভাবিকভাবে আক্রমণাত্মক ভূমিকা এবং শ্রম আইনের অপ্রত্যাশিত ব্যাখ্যা- এসব বিষয় মামলার পদ্ধতিগত অনিয়মের বিষয়টি ফাউন্ডেশনের কাছে স্পষ্ট করেছে। এর ফলে ফাউন্ডেশন এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, ইউনূসের বিচার এবং তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল উদ্দেশ্যমূলকভাবে। ক্লুনি ফাউন্ডেশন ফর জাস্টিস মনে করে, শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের উচিত আপিলে তাঁর সাজা বাতিল করা। ইউনূস সেন্টার জানায়, ২০০৯ সালে থেকে ইউনূস ও তাঁর সহযোগী কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা আনা হয়েছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনসহ শত শত বিশ্বনেতা এবং নোবেল বিজয়ী দুটি খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে তাঁরা ইউনূসের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক মামলাগুলোকে ‘নিরবচ্ছিন্ন বিচারিক হয়রানি’ বলে বর্ণনা করে তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

 

সর্বশেষ খবর