সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

রাষ্ট্রযন্ত্রও লোভের মধ্যে ডুবে আছে

--- ড. মোসলেহ উদ্দিন হাসান

রাষ্ট্রযন্ত্রও লোভের মধ্যে ডুবে আছে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসলেহ উদ্দিন হাসান বলেছেন, বেইলি রোডের অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলোর মূল কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত পাওয়ার প্রত্যাশা। যেটা আসলে লোভ। যার একটা ছোট বাড়ি আছে আরও বেশি পাওয়ার আশায় সেটাকে বহুতল করছে এবং এমনভাবে করছে যেখানে কোনো নিয়ম মানছে না। নিয়ম মানার জন্য যেসব সংস্থা কাজ করার কথা তারাও কাজ করছে না। কেননা তারাও এক ধরনের লোভের মধ্যে রয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। ড. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো- আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রও এই লোভের মধ্যে  ডুবে আছে। আর লোভ বা প্রত্যাশাটা হচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। এমনকি অলিগলি, সীমানা প্রাচীর ভেঙেও ঘর তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। আবার যে ভাড়া নিচ্ছে সেখানে এক ধরনের লোভ কাজ করছে। এখানে আমরা নিয়মকানুনও শিথিল করে দিচ্ছি। এতে করে সম্মিলিত লোভের প্রকাশ ঘটছে। গুলশান, বনানী, বারিধারার মতো আবাসিক এলাকাতেও এমন ঘটনা ঘটছে। আমরা প্ল্যানাররা যখন এটা নিয়ে কথা বলি তখন কর্তৃপক্ষ বলছে এখানে আমাদের ওপর চাপ আছে। আমাদের করতেই হচ্ছে। এখানে সবাই নতিস্বীকার করছে। একইভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রও এখানে নতিস্বীকার করছে। এই যে নতুন ড্যাপ সেখানেও নানা রকম চাপ। এখানে তো ভালো-মন্দ দুটোই আছে। যেমন এখানে একটা ভালো দিক ছিল ঢাকা শহরের অস্বাভাবিক গ্রোথটাকে নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। অস্বাভাবিক গ্রোথ হচ্ছেই। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ২০-৩০ কিলোমিটার দূরেও প্লট কিনে রাখা হচ্ছে। সবার মধ্যে একটা প্রত্যাশা কাজ করছে দাম বাড়বে। লাভ হবে। এটাই লোভ। আমরা ওপর থেকে কোনো মেসেজ দিতে পারি না। এটা শুরু করতে হয় ওপর থেকেই। কিন্তু সেটা হয় না। এখানে তেজগাঁও বা গুলশানেও এমন ঘটনা আছে যেখানে ৩২ তলা ভবন করা হয়েছে অনেক আগেই। অথচ এখন পর্যন্ত সেটাতে রাজউকের কোনো অনুমোদন নেই। তারা বেশ ওপরের মানুষ। এখানে যদি আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারি। তাহলে তো সাধারণ মানুষকে ধরতে পারব না। ফলে ওপর থেকে মেসেজগুলো দিতে পারলে নিচের দিকেও কাজ করা সহজ হতো।

সর্বশেষ খবর