মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

সরকারি-বেসরকারি সব দুর্বল ব্যাংকই একীভূত হবে

♦ আমানতকারী ও ব্যাংকাররা সুরক্ষিত ♦ শক্তিশালী হবে আর্থিক খাত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সবল ব্যাংকের সঙ্গে দুর্বল ব্যাংক একীভূত প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংককেই আসতে হবে। একীভূত হলে আমানতকারী ও ব্যাংকার সবাই সুরক্ষিত থাকবে। শক্তিশালী হবে আর্থিক খাত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। গতকাল নজরুল ইসলাম মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ব্যাংক একীভূতকরণের বিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন। একীভূতকরণের বিষয়ে ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন গভর্নর। বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, কয়েকটি দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত (মার্জার) করে দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কারও কোনো স্বার্থহানি ঘটবে না। ফলে দুর্বল ব্যাংক সবল হবে আর যারা যারা সবল তারা আরও বেশি সবল হয়ে যাবে। আবার ব্যাংকের শক্তি আরও বেড়ে যাবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার এটাই আমাদের বুঝিয়েছেন। আমরাও রাজি হয়েছি, আমাদের কোনো ক্ষতি নাই। আমরা তো শেয়ার হোল্ডার, আজ আছি কাল থাকব না। এখানে কোনো বিতর্ক হয় নাই। গভর্নর এসব বলেছেন আমরা শুনেছি। তিনি আরও বলেন, ব্যাংক একীভূত হলে আমানতকারী এবং ব্যাংকার কারও কোনো ক্ষতি হবে না। টাকা ঠিক থাকবে, ব্যাংকারদের চাকরি যাবে না। সব ঠিক থাকবে। আতঙ্কের কিছু নাই। তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া শেষ করতে এ বছর লেগে যাবে। ব্যাংক মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে গভর্নর বলেছেন দুর্বল এবং সবল ব্যাংকগুলোকে করা হয়েছে। দুর্বল ব্যাংক মাত্র ১২ থেকে ১৫টা। সবল ব্যাংকের সংখ্যা অনেক বেশি। তবে কোনো ব্যাংকের নামও বলেননি গভর্নর। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলো যদি ভালো অবস্থানে চলে তাহলে একীভূত করার প্রয়োজন হবে না। আগামী বছরের মার্চের মধ্যে আমরা দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিত করতে পারব। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কোন কোন ব্যাংক একীভূত করা প্রয়োজন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মালিকদের নিজস্ব উদ্যোগেই ব্যাংক একীভূত হয়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থাও সিদ্ধান্ত দিয়েছে। আমরা চাই মালিকরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে প্রয়োজন হলে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব।

সর্বশেষ খবর