বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংসদে প্রধানমন্ত্রী

নালিশ করে ফায়দা হবে না, এগিয়ে যাবে দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নালিশ করে ফায়দা হবে না, এগিয়ে যাবে দেশ

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশে-বিদেশে নালিশ করে কোনো ফায়দা হবে না। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না ইনশা আল্লাহ। আর বিদেশিদের কথায় দেশ চলবে না। গতকাল রাতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে সমাপনী ভাষণ ও রাষ্ট্রপতির ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে সংসদ নেতা এ কথা বলেন। ৩০ জানুয়ারি সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। এ অধিবেশনে দুটি বিল পাস হয়েছে। ৫০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ২৬৯ জন সংসদ সদস্য বক্তৃতা করেন। সংসদ সমাপনীর রাষ্ট্রপতির আদেশটি পড়ে শোনান স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এত সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতে কখনো হয়নি। ওই নির্বাচনে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। সবচেয়ে লক্ষণীয় হলো অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব থেকে বড় কথা নারী ভোটারদের উপস্থিতি, প্রথমবার যারা ভোটার হয়েছে সেই তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।

মানুষ খুন আর অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় কোনো ছাড় নয় বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দিনের পর দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে, অগ্নিসন্ত্রাস করছে, পুড়িয়ে মানুষ মারছে। এ ধরনের অপরাধ যারা করে তাদের ক্ষমা করা যায় না। তাদের শাস্তি পেতেই হবে।

নির্বাচন-পূর্ববর্তী ঘটনাবলিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির তরফ থেকে দেশে-বিদেশে বারবার লেখা হচ্ছে তাদের এত লোক অ্যারেস্ট (গ্রেফতার)। সব দেশে-বিদেশে নালিশ করছে। বিএনপির সব নাকি রাজবন্দি। যারা এভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারে তারা কি রাজবন্দি হয়? তারা তো সন্ত্রাসী, তারা জঙ্গিবাদী, তারা অপরাধী। রাজনৈতিক কারণে তো কেউ গ্রেফতার নেই। যারা গ্রেফতার আছে হয় হুকুমদাতা না হয় সরাসরি অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িত অথবা অর্থ প্রদানকারী। এই হুকুমদাতা, অর্থ প্রদানকারী আর সরাসরি জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। এটা হলো বাস্তবতা।

নিজ দলের এমপিদের উদ্দেশ করে সংসদ নেতা বলেন, নিজ নিজ এলাকায় যারা এ ধরনের অপরাধ করেছে, যেসব মামলা চলছে। সেই মামলাগুলো যেন যথাযথভাবে চলে, সাক্ষী-সাবুদ যেন হয়, শাস্তি যেন তারা পায়।

তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, এদের চরিত্র মানুষ খুন করা। দুর্নীতি করা। লন্ডন থেকে হুকুম আসে- তারা এখানে আগুন দেয়, মানুষ খুন করে, আবার ছবিও পাঠাতে হয়। কী চমৎকার কথা! ভিডিও কনফারেন্সে হুকুম আসে। তারা তামিল করে। আগুন দিয়ে মানুষ মেরে, পুলিশ মেরে সেই ছবি পাঠায়। তাহলে আর তো সাক্ষী-সাবুদ কী দরকার। তারা নিজেরাই আলামত রেখে দিচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করলে তারা রাজবন্দি হয় কী করে? একজন হাজার মাইল দূরে বসে হুকুম দেয়, আর তামিল যারা করে তাদের যে বিপদে ফেলা হয় এটা কি বিএনপির নেতা-কর্মীরা বোঝে না? তাদের কি আক্কেল নেই? আরেকজন বলছে, ছবি গোপনে দাও। ছবি না দিলে নাকি তাদের ক্রেডিট থাকে না নেতার কাছে। এ কেমন নেতা! দূরে নিজে নিরাপদে থেকে হুকুম চালায়। আর এরা জানি না কী ধরনের কর্মী, মানুষ খুন করে! মানুষ খুন করলে এদের কেউ ছাড়বে না। সাধারণ মানুষকে বলব এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে হবে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলার মতো বাংলাদেশেও বিএনপি হাসপাতাল, পুলিশ ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে গাজায় যে ঘটনা ঘটাচ্ছে। আজকে বিএনপির যে চরিত্র যেভাবে তারা আক্রমণ করে। পুলিশকে আক্রমণ, হাসপাতালে আক্রমণ ঠিক যেমন প্যালেস্টাইনের ওপর হচ্ছে। হাসপাতালে বোম্বিং হচ্ছে। নারী-শিশুসহ তাদের মারা হচ্ছে ওই একই চরিত্র। বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল হয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, সুষ্ঠুভাবে সংসদ চলবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকবে। অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশে-বিদেশে নালিশ করে কোনো ফায়দা হবে না। বিদেশিরা কী বলল সেটা দিয়েও চলবে না। সব দেশের নির্বাচন আমাদের দেখা আছে। এবারের মতো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন দেশে আর হয়নি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনে একটি রাজনৈতিক দলসহ তাদের জোট অংশগ্রহণ করেনি। তবে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ দেশের মানুষ প্রার্থী হয়। আমরা নমিনেশন দেওয়া সত্ত্বেও প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। নির্বাচনে ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী ছিল। স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল ৪৩৬ জন। এ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। নির্বাচনে নারী ও তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ও দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজনীতি করে যাচ্ছি। এ দেশের মানুষ সুফল পেয়েছে বলেই আমাদের ওপর বারবার আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে।

আমাদের বারবার নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ও দেশের জনগণসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, জনগণের কাছে আমরা ওয়াদা দিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। পাঁচ বছর মেয়াদি এ সরকারের সময় ওয়াদা বাস্তবায়ন করব-এটাই আমাদের একমাত্র প্রতিজ্ঞা।

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়। এটা তো বাস্তব সত্য। তা প্রমাণ করেছি। ১৫ বছরে এটা প্রমাণ হয়েছে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই দেশটা এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এ লক্ষ্য নিয়ে আওয়ামী লীগ কাজ করছে।

সংসদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য সরকারি দল, বিরোধীদলীয় ও স্বতন্ত্র এমপিদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। টেবিল চাপড়িয়ে এমপিরা প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান। স্বতন্ত্র এমপিদের টেবিল চাপড়ানোর শব্দ বেশি জোরে হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী হাসির ছলে বলেন, মনে হচ্ছে স্বতন্ত্রদের চোটপাট বেশি।

শেখ হাসিনা বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন, কাউন্টার স্যাংশন ও কভিড অতিমারির পরে এই মূল্যস্ফীতি ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে। কেবল বাংলাদেশ নয় বিশ্বের উন্নত দেশেও এই মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমাদের দেশে যাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য যাতে সহনশীল থাকে। এখানে একটু অদ্ভুত ব্যাপার, দাম বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়, মজুত করা হয়। সেগুলো লক্ষ্য রেখেই মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

তিনি বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যপণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি। ৮টি বিভাগে ৮টি সংরক্ষণাগার আমরা করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। কৃষক যাতে পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সেটা দেখা হবে। কৃষিতে ভর্তুকি অব্যাহত রাখব।

মন্ত্রীদের দেওয়া নির্দেশনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে উপকারিতার ক্ষেত্রে দেশের জনগণের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিদেশি ঋণ ও সহায়তা গ্রহণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই করতে হবে। কেউ আমাদের এখানে এসে বলল, আমরা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়ব না। আমরা বিবেচনা করে নেব। সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার উপকারভোগী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সত্যিকার যারা প্রাপ্য তাদের খুঁজে বের করা হবে।

সরকারের কর্মসূচির প্রসঙ্গ টেনে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা রপ্তানি বহুমুখীকরণ করব। আমরা প্রতিটি অ্যাম্বাসিকে নির্দেশ দিয়েছি, এখনকার ডিপ্লোম্যাসি হবে ইকোনমিক্যাল ডিপলোমেসি। শুধু পলিটিক্যাল নয়, কোন দেশে আমরা কী রপ্তানি করতে পারি, নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করা আমাদের লক্ষ্য। কৃষিজাত পণ্যের শিল্প বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি দেব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। একটি মানুষ মারা যাওয়ার পর কী ঘটনা হয় সেটা তিন-চার দিন আগে আমরা দেখেছি। একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে যখন দেখি রাজনীতির নামে, নির্বাচন ঠেকানোর নামে অগ্নিসন্ত্রাস ঘটানো হয়, মানুষ পুড়িয়ে মারা হয়, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করা হয়। এতটুকু মনুষ্যত্ব ও দেশপ্রেম থাকলে কেউ এটা করতে পারে?

’৭৫ পরবর্তী নির্বাচনগুলোর ঘটনা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, কেন নির্বাচনে বাধা দেওয়া? ’৭৫-এর পর প্রতিটি নির্বাচন তো আমরা দেখেছি। সেই হ্যাঁ/না ভোট। নির্বাচন কমিশনে তালা দিয়ে ভোটের রেজাল্টই নেই। তিন-চার দিন পর রেজাল্ট। আমাদের বিরোধীদলীয় নেতা দেখালেন- তিনি কিন্তু দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ নির্বাচনের রেজাল্ট দেখাননি। দ্বিতীয় নির্বাচন কীভাবে করেছিল। তৃতীয় নির্বাচনে বিরোধীদলীয় নেতার ভাই (এরশাদ) তখন আরেক মিলিটারি ডিকটেটর ক্ষমতায়। এক মিলিটারি ডিকটেটর ভোট চুরির রাস্তা দেখিয়ে গেল, ক্ষমতার দখলটা দেখিয়ে গেল, তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আরেকজন...। দুজনেরই একই খেলা। সেনাপ্রধান হলেন। একদিন ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে গেলেন। একই সঙ্গে দুই রূপ। রাষ্ট্রপতির পদ নিয়ে ভোট চুরি। খুশি হতাম বিরোধীদলীয় নেতা যদি তার ভাইয়ের ১৯৮৮-এর নির্বাচনটা দেখাতেন। সেই নির্বাচনটা ছিল শুভঙ্করের ফাঁকি। এরশাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করল খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে। অবশ্য তিনি দেখিয়েছেন ২১ শতাংশ ভোট। ২১ শতাংশ কীভাবে হলো। সেদিন তো কোনো ভোটার ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। হোন্ডা-গুণ্ডা দিয়ে নির্বাচন ঠান্ডা। এরশাদের নির্বাচন টেকেনি। খালেদা জিয়ার নির্বাচনও টেকেনি। জনগণের রুদ্ররোষে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অধিবেশনের সমাপনী সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ সংসদের বৈঠকে পড়ে শোনান স্পিকার। তিনি জানান, ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া এই অধিবেশনে মোট কার্যদিবস ছিল ২২ দিন। প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের জন্য ৮৬টি প্রশ্ন জমা পড়ে। এর মধ্যে ৪৫টি প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ১ হাজার ৮২২টি। এর মধ্যে ১ হাজার ৮০টি প্রশ্নের উত্তর মন্ত্রীরা দিয়েছেন। একাত্তর বিধিতে জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নোটিস জমা পড়েছে ২৫০টি। এর মধ্যে ১৫টি নোটিস আলোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি নোটিস আলোচিত হয়েছে। বিল পাস হয়েছে মাত্র দুটি। অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভাষণ দেন। এই ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী। পরে এই ভাষণের ওপর সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করেন। সবমিলিয়ে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা প্রায় ৪০ ঘণ্টা অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল শেষ দিনের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অংশ নেন বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী।

সর্বশেষ খবর