বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
তারিক আহমেদ সিদ্দিক

সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত

নিজস্ব প্রতিবেদক

সশস্ত্র বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। সীমান্তে বহিঃশক্তি সম্পৃক্ত হতে যাচ্ছে বলে ধারণা করছি। তবে বাংলাদেশ সেগুলোতে নাক গলাবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, আমরা কোনো সময় আগ্রাসি ভূমিকা নেব না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত, আমাদের ওপর যদি কোনো রকম আক্রমণ আসে, আমরা ব্যবস্থা নেব। সশস্ত্র বাহিনী পার্ট অব ট্রেনিং, সব সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে। ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনে গতকাল সকালের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট, মাদক পাচার, মিয়ানমার পরিস্থিতি এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের জনগণের শান্তি ও রোহিঙ্গাদের শৃঙ্খলাপূর্ণভাবে রাখতে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, ওখানে সিভিল প্রশাসন যেমন সম্পৃক্ত, তেমনি বিজিবিও সম্পৃক্ত। সেনাবাহিনী ততটা সম্পৃক্ত নয়। কারণ এখনো যুদ্ধ লাগেনি যে সেনাবাহিনী সম্পৃক্ত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেবেন সেটা মানব। আর্মি পেশাদারির সঙ্গে সব সময় প্রস্তুত থাকে। দেশের সংকটে সিভিল প্রশাসন ও আর্মি প্রশাসন একযোগে কাজ করবে। নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, সিভিল মিলিটারি সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বেশকিছু বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আমরা কীভাবে আরও কাছাকাছি আসতে পারি দুটো উইং, সেটার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এখন দুটো প্রশাসনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো। গত নির্বাচন অনেক সুষ্ঠু হয়েছে। আর্মি সিভিল প্রশাসন একযোগে কাজ করেছে। তিনি বলেন, ডিসিরা হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন। বৈশ্বিক কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছি। প্রয়োজনে আর্মির হেলিকপ্টার নিয়ম মেনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা ব্যবহার করতে পারে, বিধান আছে। তিনি বলেন, পাশের দেশ থেকে এসে আমাদের ইলিশ ধরে নেয়, এটা বন্ধে ডিসিরা ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। মিয়ানমার পরিস্থিতিতে তিন জেলার ডিসিরা আরও সহায়তা চেয়েছেন।

তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, স্মাগলিং বন্ধ হতে হবে। বর্ডার হাট করা হয় এটা বন্ধে। সীমান্তে হত্যা নয়, ইনসিডেন্ট ঘটে। ভোটের পরে পরিস্থিতি ভালো আছে। তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও ড্রাই সিজনে এটা হয়। এরপরও খতিয়ে দেখা উচিত। আরও যাতে অগ্নিকাণ্ড না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। কারণ প্রিভেনশন ইজ বেটার দেন কিউর। তিনি আরও বলেন, আমাদের সিভিল মিলিটারি রিলেশনশিপ (সিএমআর) এটা যেন আর উন্নত হয় সেজন্য আলোচনা হয়েছে। এ আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ ছিল। ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষ থেকে বেশকিছু প্রস্তাব এসেছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেব। ওনারাও (ডিসি-বিভাগীয় কমিশনার) চাচ্ছেন আমাদের কাছাকাছি আসতে, আমরাও চাচ্ছি ওনাদের কাছাকাছি যেতে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ্য অনেক বেশি। ওনারা আমাদের এখানে ট্রেনিং করতে আসেন, আমরাও যাই। এতে আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বেড়ে গেছে।

 

সর্বশেষ খবর