বুধবার, ৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অভিযানকে বাড়াবাড়ি দাবি মালিক সমিতির

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে রেস্টুরেন্টে একাধিক সংস্থা থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী আনসার, পুলিশ ও এলিট ফোর্স র‌্যাবও তাদের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে। এসব অভিযান বাড়াবাড়ি। কেননা নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে সরকার একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে। তাদের কাজটি করতে দিতে হবে।’ গতকাল রাজধানীর বিজয়নগরে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি মো. ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, যুগ্ম মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে রেস্তোরাঁ শিল্পের সংকট উত্তরণের উপায় এবং আসন্ন মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রেস্তোরাঁ ব্যবসা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে আগামীকাল প্রতিটি রেস্তোরাঁয় কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ইমরান হাসান বলেন, ‘বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনের দায় কেউ এড়াতে পারেন না। পুরো ভবনটাই ছিল অনিয়মে ভরা।

ভবনটির অনুমোদন দিয়েছে রাজউক, রেস্তোরাঁ সেক্টর তদারকি করে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদফতর। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর, সংযুক্ত আছেন জেলা প্রশাসকসহ অনেক সরকারি সংস্থা। ৪৬ জনের প্রাণহানির পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীর বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল জব্দ এবং কর্মরতদের গ্রেফতার করেছে। এটি সমস্যার সমাধান নয়।’ তিনি বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের পর্যাপ্ততা নেই। আবার লাইন সংযোগ থাকলেও গ্যাস নেই। এখন বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে গ্যাস সিলেন্ডার বা লাকড়ি ব্যবহার করতে হয়। তবে লাকড়ি ব্যবহার করলে কিচেনসহ পুরো রেস্টুরেন্ট কালো হয়ে যায়, পরিবেশ ঠিক থাকে না। পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্কফোর্স গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করছি। যাতে ভবিষ্যতের জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা যায়। যেন ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তোরাঁ গজিয়ে উঠতে না পারে।’

 

সর্বশেষ খবর