বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে

ইমরান হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক

টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেছেন, রেস্তোরাঁ ব্যবসার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। সেখানে সব স্টেক হোল্ডাররা থাকবেন। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সৎ অফিসার থাকবেন। বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্যান্য সংগঠনের যেমন কমপ্লায়েন্স করেছে সে রকম আমরাও আমাদের সমিতির মাধ্যমে করব। সমিতির মাধ্যমে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একসঙ্গে এক ছাতার নিছে নিয়ে আসব। এরপর কীভাবে আমাদের সেক্টরকে কমপ্লায়েন্স করা যায় সেই চেষ্টা করব। এর রেগুলেটরি করবে সরকার। সদস্যদের কমপ্লায়েন্স মানতে হবে। বহুদিন থেকে এটা আমাদের দাবি ছিল। আগে অনেকে আসেনি এখন সবাই বুঝতেছে যে একটা শক্তিশালী অ্যাসোসিয়েশন দরকার। রানা প্লাজার ত্যাগের বিনিময়ে আমরা গামের্ন্টস সেক্টরে কমপ্লায়েন্স পেয়েছি। এখন আমরা আমাদের সেক্টরে কমপ্লায়েন্স শক্তিশালী করতে চাই। বন্ধ তো সমাধান নয়।

ইমরান হাসান বলেন, আমাদের এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে যে, রেস্টুরেন্ট করার আগেই যথাযথ কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাই করে রেস্টুরেন্টের অনুমোদন দেবে। প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার নিরাপদ খাদ্য বাস্তবায়নে এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চয়তার স্বার্থে সরকার হোটেল রেস্তোরাঁ খাতের সবাইকে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সদস্যপদ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এর আগে গেজেট নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন হয়নি। তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্র যখন আমাদের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে তখন আমাদের আর কী করার আছে। সবাই এ বিষয়ে চুপ হয়ে আছে। আমরা ছোট উদ্যোক্তা। আমাদের সবকিছু এখানে বিনিয়োগ করেছি। এখন আমাদের রাস্তায় বসা ছাড়া আর জায়গা নেই। আমরা রাস্তায় বসলেই রাষ্ট্রের কি আর না খেয়ে থাকলেই রাষ্টের কি। আজকে আমাদের কর্মীদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, কর্মীদের জামিন দিচ্ছে না। রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে আছে। এখন দেখা যাচ্ছে, ৪৬ জনের প্রাণহানির পর টনক নড়ল রাজউকের ও সিভিল ডিফেন্সের। ভবনে অনিয়ম পেলে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির লাইন বিচ্ছিন্নের হুঁশিয়ারি, নিবন্ধন ও লাইসেন্স করতে হবে স্বল্প সময়ের মধ্যে। ইতোমধ্যে ঘটনার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঢাকা শহরের বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসের বোতল জব্দ করছে এবং স্টাফদের গ্রেফতার করছে। এটা তো কোনো সমাধান না।তিনি বলেন, রেস্তোরাঁ-সংশ্লিষ্ট সেক্টরটিতে ৪ লাখ ৮১ হাজার রেস্তোরাঁ এবং ৩০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। সেক্টরটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ নির্ভরশীল। এই সেক্টরটি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। বহু বছর ধরে রেস্তোরাঁ সেক্টরের সমস্যা নিয়ে সরকারি দফতরে গিয়েও কোনো সময়োপযোগী সহযোগিতা পাইনি। মনিটরিংয়ের নামে শুধু হয়রানি করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা প্রয়োজন। যার মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে। সঙ্গে সঙ্গে রেস্তোরাঁ সেক্টরের জন্য সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি হবে। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর