শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা দিতেই হবে : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. ইউনূসকে ১১৯ কোটি টাকা দিতেই হবে : হাই কোর্ট

ছয়টি করবর্ষের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর দাবি নিয়ে আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণের করা সাতটি আবেদন (আয়কর রেফারেন্স) খারিজ করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে গ্রামীণ কল্যাণকে আয়কর বাবদ দাবির বাকি ১১৯ কোটি টাকা এখন পরিশোধ করতে হবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।

এর আগে হাই কোর্টে ২০১৫ সালে চারটি, ২০১৬ সালে একটি, ২০১৮ সালে দুটিসহ গ্রামীণ কল্যাণ পৃথক সাতটি আবেদন (আয়কর রেফারেন্স) করে। আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী, মো. উম্বর আলী ও দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি। রায়ের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি সাংবাদিকদের বলেন, আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের পর ছয়টি করবর্ষের বিপরীতে গ্রামীণ কল্যাণের কাছে এনবিআরের দাবি ছিল ৫৫৫ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৬২৪ টাকা। এই দাবির বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে ৪৩৬ কোটি ৬৫ লাখ ৫২ হাজার ৪৩৪ টাকা পরিশোধ করেছে গ্রামীণ কল্যাণ। এ হিসাবে গ্রামীণ কল্যাণের কাছে এনবিআরের আয়কর বাবদ দাবির বাকি ১১৯ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ১৯০ টাকা পাওনা। রেফারেন্স আবেদনগুলো খারিজ হওয়ায় গ্রামীণ কল্যাণকে আয়কর বাবদ দাবির অবশিষ্ট ১১৯ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে।

গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী সরদার জিন্নাত আলী সাংবাদিকদের বলেন, গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপকমিশনার অব ট্যাক্সেস (ডিসিটি) মূল্যায়ন করে ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ (১২ মাস) ও ২০১৬-১৭ (ছয় মাস)- এই করবর্ষের জন্য গ্রামীণ কল্যাণের প্রতি করারোপ করে। এর বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণ কমিশনার অব ট্যাক্সেসে আপিল করে বিফল হন। ডিসিটির সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। পরে কর আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করেও বিফল হয় গ্রামীণ কল্যাণ। এ অবস্থায় ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৮ সালে হাই কোর্টে পৃথক সাতটি আবেদন (রেফারেন্স) করে গ্রামীণ কল্যাণ।

 

সর্বশেষ খবর