শনিবার, ৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দিল্লিতে রাস্তায় জুমার নামাজরত মুসল্লিদের লাথি, উত্তেজনা

কলকাতা প্রতিনিধি

দিল্লি নগরীর ইন্দ্রলোক এলাকায় রাস্তায় জুমার নামাজরত দুই মুসল্লিকে পুলিশ লাথি মারলে উত্তেজনা দেখা দেয়। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল জুমার নামাজ পড়ার সময় মুসল্লিদের পেছন থেকে লাথি মারা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মনোজ কুমার টোমারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

দিল্লির ইন্দ্রলোক এলাকায় একটি মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য বিশাল সংখ্যায় মুসল্লি জড়ো হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জমায়েতের কারণে মসজিদে স্থানসংকুলান না হওয়ায় অনেকেই ব্যস্ত রাস্তার ওপরই নামাজ আদায় শুরু করে। ফলে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়, পথচলতি সাধারণ মানুষও অসুবিধায় পড়ে।

৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা গেছে, দিল্লি পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং নামাজ আদায়কারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মকর্তা নামাজ আদায়কারীদের রাস্তা থেকে উঠে যেতে বলেন। এ সময়ই তিনি নামাজরত অবস্থায় পেছন থেকে দুই মুসল্লিকে লাথি মারেন। হাত দিয়ে অন্য একজনের ঘাড়েও মারেন তিনি। পুলিশ কর্মকর্তার ওই আচরণের বিরোধিতা করে তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় মুসল্লিরা। সেই ভিডিও সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায় রাজধানীতে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি তোলা হয়। এ ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য ইমরান প্রতাপগড়ী লিখেছেন, ‘এই দিল্লি পুলিশের সৈনিক নামাজ পড়ার সময় একজন ব্যক্তিকে লাথি মারছে, তিনি সম্ভবত মানবতার মূল নীতিগুলো বোঝেন না। ওই সৈনিকের হৃদয়ে কীভাবে এই ঘৃণা ভরে আছে? দিল্লি পুলিশকে অনুরোধ করা হচ্ছে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যথাযথ ধারায় মামলা দায়ের করতে এবং চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করতে।’

এ ঘটনায় দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) এম কে মীনা বলেন, ‘আজকে (শুক্রবার) যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ভিডিওতে যাকে দেখা গেছে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’

ইন্দ্রলোক এলাকায় রাস্তার ওপর নামাজ আদায়ের কোনো অনুমতি ছিল কি না সে ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে ঘটনার পর ইন্দ্রলোক এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় প্রচুর মানুষ জড়ো হয়। একসময় রাস্তা অবরোধ করে প্রতিবাদ করতে থাকে উত্তেজিত জনতা। এ ঘটনা কেন্দ্র করে নতুন করে যাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

সর্বশেষ খবর