নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় মাংস বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হুমায়ুন ঠাকুর (৫১) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে মারা গেছেন। তিনি উপজেলার কচুবাড়িয়া এলাকার মৃত নিরু ঠাকুরের ছেলে। তিনি পেশায় মাংস বিক্রেতা ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার লক্ষ্মীপাশা চৌরাস্তা এলাকায় ৫ মার্চ সকালে হুমায়ুনের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। সন্ধ্যায় লোহাগড়া পৌর এলাকার রাজুপুর গ্রামের ফারুক শেখের ছেলে হায়াতুরের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হুমায়ুন ঠাকুরের ছেলে আবদুল্লাহ ঠাকুর শিপলা (২৫) ও তার সহযোগী রুমানকে (২৭) মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই রাতে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে লক্ষ্মীপাশা আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্ব গেটের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশি অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হুমায়ুন ঠাকুরকে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় লোকজন আহতকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ হায়াতুর শেখ ও হামীম শেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।