রবিবার, ১০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছেই

কক্সবাজার প্রতিনিধি

মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছেই। কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং ও হ্নীলা ইউনিয়ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত শুক্রবার রাতভর গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে। এতে সীমান্তের এপারে বসবাসরত মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের টহল। স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন শান্ত থাকলেও গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত হয়ে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সহিংস ঘটনায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমার সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ চলছেই। এতে টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভীবাজার, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, টেকনাফ পৌর শহরের কয়েকটি এলাকায় সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে। হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের ওপারের মিয়ানমারের কুমিরহালি, নাইচদং, কোয়াংচিগং, শিলখালী, নাফপুরা গ্রামগুলোতে যুদ্ধ চলছে। উনচিপ্রাং এলাকার বাসিন্দা বশির আহমদ বলেন, কয়েক দিন ধরে তেমন গুলির শব্দ শোনা যায়নি। শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছে।

এতে আতঙ্কিত হয়ে চিংড়ি চাষিরা নিরাপদ স্থানে চলে আসেন। মূলত আরাকান আর্মির হাতে দখল হওয়া ঘাঁটিগুলো উদ্ধার করতে জান্তা বাহিনী আবারও আক্রমণ করছে। আমরা আকাশে উড়তে হেলিকপ্টার ও বিমানও দেখতে পেয়েছি। হ্নীলা এলাকার বাসিন্দা জাফর বলেন, রাতভর গোলাগুলি হয়েছে। সীমান্তের মানুষের জন্য এটি স্বাভাবিক হয়ে গেছে। আমাদের ঘুম ভাঙে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলির শব্দে। সেখানে তুমুল লড়াই চলছে। হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, কয়েক দিন সীমান্তের পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত থাকলেও আবারও ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সীমান্তের কাছাকাছি বাসিন্দাদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। হোয়াইক্যং থেকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত নাফ নদে বিজিবি ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছেন। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, সীমান্তে রাতভর গোলাগুলির মর্টার শেলের বিকট শব্দ শোনা যায়। মনে হচ্ছিল গোলাগুলি আমার বাসার পাশেই হচ্ছে। সীমান্তের বাসিন্দারা অনেক আতঙ্কে আছেন।

 

সর্বশেষ খবর