বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

অনিয়মের বিরুদ্ধে ঢাকায় অভিযান

♦ পুরান ঢাকায় চার ভবনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ♦ বনানীতে দুই রেস্টুরেন্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা ♦ ধানমন্ডির চার প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিদফতরের জরিমানা ♦ হয়রানিমূলক অভিযান কেন অবৈধ নয় : হাই কোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনিয়মের বিরুদ্ধে ঢাকায় অভিযান

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের পর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে সিটি করপোরেশন, রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। একই সময়ে খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরিসহ নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গতকাল পুরান ঢাকার কামালবাগের দেবীদাস ঘাট লেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে চারটি ভবনকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। একই সঙ্গে বনানীতে দুটি রেস্টুরেন্টকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে রাজউক। এ ছাড়া ধানমন্ডিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরির অভিযোগে চার রেস্তোরাঁকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদফতর। এদিকে হয়রানিমূলক অভিযান কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট।

গতকাল পুরান ঢাকার কামালবাগের দেবীদাস ঘাট লেনে দিনব্যাপী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। অভিযানে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা না থাকায় পুরান ঢাকার চার প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহাঙ্গীর আলম।

অভিযানে প্রথমে ৩০/৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের মধুমতী প্লাস্টিক কারখানায় যান। সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিঝুঁকি-সংক্রান্ত অন্যান্য শর্ত পূরণ না করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে আদালত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র না থাকায় পাশের শরীফ প্লাস্টিক কারখানাকে ২ লাখ এবং অন্য আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

এ ছাড়া বনানীর আহেলী কাবাব ও কুল অ্যান্ড কফি রুপটপ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিনুল ইসলাম। অভিযানে ভবনের ব্যবহার ব্যত্যয়ে আহেলী কাবাব রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে রূপান্তর করতে বলা হয়। আর রূপান্তর করতে না পারলে এ রেস্টুরেন্টকে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া কুল অ্যান্ড কফি রুপটপ রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ রেস্টুরেন্টক বন্ধ করতে এক মাস সময় দেওয়া হয়। নইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কদমতলীতে নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবন নির্মাণে কয়েকটি ভবনকে হুঁশিয়ারি করেছেন সংস্থাটির ভ্রাম্যামাণ আদালত।

এদিকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারিসামগ্রী তৈরির অভিযোগে ধানমন্ডির জিগাতলার ডারলিং পয়েন্ট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং সুনামি রেস্তোরাঁকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে পূর্ব রায়েরবাজার নিউ ধানমন্ডি রেস্তোরাঁ ও বিসমিল্লাহ হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টকে ২ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।

এ ছাড়া গতকাল ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন গুলশান-২-এ মার্কেট পরিদর্শন ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে। অভিযানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন অঞ্চল-৩ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নাইন।

 

রেস্তোরাঁয় হয়রানি কেন অবৈধ নয় : হাই কোর্টের রুল

রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় অভিযানের নামে হয়রানি কেন অবৈধ নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ১১ মার্চ রাজধানীর হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোয় হয়রানিমূলক অভিযান বন্ধ চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করা হয়। রিটে হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকরা সব শর্তপূরণে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

সর্বশেষ খবর