শনিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ক্যালি রাজ্জুক

বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তবে অংশীদারি চলবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, তবে অংশীদারি চলবে

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে সংযুক্ত প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিশেষ সহকারী এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ক্যালি রাজ্জুক এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে নিজেদের অবস্থান জানান। বুধবার ওয়াশিংটনের ফরেন প্রেস সেন্টারে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠেয় তৃতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনের প্রাক পর্যালোচনা উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে ক্যালি রাজ্জুক বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। তবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন কর্তৃপক্ষ তৃতীয় গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ পাচ্ছে না বলে আমার ধারণা। আমার প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনে বাইডেন প্রশাসনের যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন আমরা এই নির্বাচনের পর দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখছি না? যেমনটি আমরা দেখেছি নিকারাগুয়া, নাইজেরিয়া, গুয়েতেমালা কিংবা কম্বোডিয়ার মতো দেশের বেলায়। জবাবে ক্যালি রাজ্জুক বলেন, আমি শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণের প্রসঙ্গে কথা বলছি না। কারণ এবারের সম্মেলনের আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ থেকে সম্পন্ন হবে। কিন্তু নির্বাচন প্রসঙ্গে আমরা বলতে চাই। অন্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আমরা একমত বাংলাদেশের নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। আমরা ব্যথিত, সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি। রাজনৈতিক বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেফতারের বিষয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। তবে সামনের দিকে অগ্রসর হতে একটি অবাধ এবং মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল গড়ে তুলতে অভিন্ন লক্ষ্যে পৌঁছতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারি নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র। আমরা দুই দেশের জনগণের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই এবং এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাব।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্জুক বলেন, আমরা খুব স্পষ্টভাবে বলেছি, প্রতিটি গণতন্ত্র আলাদা এবং গণতন্ত্রের কোনো নীলনকশা নেই। আমরা স্পষ্টতই এই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক সংস্কার এবং প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেছি। আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্দেশ্য- আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ওপর খুব মনোযোগী এবং কীভাবে আমরা সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো ভাগ করে নিতে পারি এবং গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় করতে পারি।

সর্বশেষ খবর