রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

ভ্লাদিমির পুতিনের বিজয় নিশ্চিত

প্রতিদিন ডেস্ক

ভ্লাদিমির পুতিনের বিজয় নিশ্চিত

রাশিয়ায় তিন দিনব্যাপী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আজ শেষ দিন। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ধারেকাছেও কেউ নেই। তাঁর বিজয় নিশ্চিত। ছোটখাটো গোলযোগ ছাড়া ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। তাস, রয়টার্স

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ক্ষমতা আরও ছয় বছরের জন্য পাকাপোক্ত হচ্ছে। গত শুক্রবার থেকে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিন দিনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। আজ ভোটের শেষ দিন। এ নির্বাচনে পুতিনের কোনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনে তিনিই জিততে চলেছেন। রাশিয়ার এই নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ২৩ লাখ। প্রবাসী ১৯ লাখ ভোটার নির্বাচনে ভোট দিতে পারছেন। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৭৪ হাজার ৫৫০টি ব্যালট ছাপা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আগাম ভোট পড়ে ২০ লাখ। খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৮টায় রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপে ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে নির্বাচন শুরু হয়। স্থানীয় সময় আজ রাত ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলীয় কালিনিনগ্রাদে সর্বশেষ ভোট হবে।

যেসব অঞ্চলকে নিজেদের সীমানায় রাশিয়া অন্তর্ভুক্ত করেছে, সেগুলোতেও ভোট হচ্ছে। অল রাশিয়া পিপলস ফ্রন্টের প্রার্থী তথা বর্তমান প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মূল লড়াই হচ্ছে রুশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নিকোলাই খারিতনভের। এ ছাড়া লড়াইয়ে রয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপিআর) লিওনিদ স্লুৎস্কি এবং ইউনিয়ন অব প্রগ্রেসিভ পলিটিক্যাল ফোর্সেসের ভ্লাদিস্কভ ডাভানকোভ। তবে তাঁরা কেউই পুতিনের কোনো সমালোচনা করেননি।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ায় সাধারণত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৭ থেকে ৮ কোটি ভোট পড়ে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৬৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পড়েছিল। পশ্চিমাদের চোখে পুতিন ‘স্বৈরাচার’ হলেও দেশে তাঁর প্রতি ৮৫ শতাংশ জনসমর্থন রয়েছে। জানা গেছে, রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দিনে ভোট কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে বেশ কয়েকজন ভোটারকে আটক করে পুলিশ। ব্যালট বক্সে আগুন ও ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। এসব ঘটনা বেশির ভাগ ঘটেছে মস্কোর ভোট কেন্দ্রগুলোয়। এ ছাড়া দক্ষিণ রাশিয়ার ভোরোনেজ ও উত্তর ককেশাসের কারাচে-চের্কেসিয়া অঞ্চলেও বেশ কয়েকটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ খবর