রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএসএমএমইউ চিকিৎসকদের হাতাহাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিভিন্ন সময় অ্যাডহকে নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তিদের স্থায়ীকরণ নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসকদের দুই গ্রুপে হাতাহাতি ঘটেছে। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। গতকাল এবং এর আগে বৃহস্পতিবারও হাতাহাতি ঘটেছে বলে জানা যায়।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম না মেনে গত তিন বছরে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিভিন্ন পদে প্রায় ২ হাজার জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ পাওয়া এসব ব্যক্তির চাকরি স্থায়ী করতে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ আবার নিয়ম ভাঙছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতাদের একাংশের।

তাঁদের দাবি, বর্তমান উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে ২৮ মার্চ। ইতোমধ্যে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ। এমন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ীকরণ কমিটির মতামত না নিয়ে তড়িঘড়ি স্থায়ীকরণের জন্য ভাইভা নিচ্ছেন বর্তমান উপাচার্য। বিএসএমএমইউর একাধিক সূত্র জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় শিক্ষক সমিতি ও স্বাচিপ নেতাদের একাংশ মিছিল করে উপাচার্য কার্যালয় অভিমুখ ঘেরাও করেন। এ সময় উপাচার্যের অনুগতদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ ঘটে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি এক বছর পর নিয়মিত হবেন এবং বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও স্থায়ীকরণ কমিটির মতামতের ভিত্তিতে স্থায়ী হতে পারবেন। স্থায়ীকরণ কমিটিতে থাকতে হবে উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের ডিন ও হাসপাতাল পরিচালককে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী চাকরি স্থায়ীকরণ হবে ভাইভা বোর্ডের প্রত্যেক সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে। কিন্তু তা মানছেন না বর্তমান উপাচার্য। তড়িঘড়ি নিজ অনুগতদের পদোন্নতি ও অ্যাডহকে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের স্থায়ী করছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চালাতে গেলে প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, ডিন এসব পদ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হয়। তা করেননি। পছন্দমতো নিয়োগ দিয়ে এখন এদের স্থায়ী করার চেষ্টা করছেন।’ এ ঘটনায় বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের একটি মিটিং করছিলাম। সেখানে কিছু পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের কথা ছিল। এর মধ্যে কিছু চিকিৎসক এসে বললেন এ মিটিং করার দরকার নেই। এর মধ্যেই বাইরে শুনি কিছু মানুষ হইহুল্লোড় করছে। তারা চাইছে যেহেতু আমার মেয়াদের শেষ সময়, আমি যেন কোনো কিছু না করি। আমিও আমার শেষ সময়ে কোনো ধরনের ঝামেলায় জড়াতে চাই না, তাই আমি মিটিংটি স্থগিত করেছি।’

সর্বশেষ খবর