সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্ষোভে ফুঁসছে জবি

অবন্তিকার আত্মহত্যায় অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা আছে -ডিএমপি, গ্রেফতার শিক্ষক শিক্ষার্থীকে কুমিল্লায় হস্তান্তর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

ক্ষোভে ফুঁসছে জবি

আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার (২৪) আত্মহত্যার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। অবন্তিকার সহপাঠীসহ বিশ্ববিদ্যায়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এ ঘটনায় গতকাল দিনভর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন। তারা আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। গতকাল সন্ধ্যায় শান্তচত্বর থেকে অবন্তিকার আত্মহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মশাল মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে পুনরায় ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয় এবং অবন্তিকার স্মরণে আলোক প্রজ্বলন ও পারফরমেন্স আর্ট প্রদর্শনী করেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করার জন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ। তবে অভিযুক্ত আম্মান সিদ্দিকী ও দ্বীন ইসলামকে গ্রেফতার করলেই হবে না, অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। অঙ্কন বিশ্বাস, মীম কিংবা ফাইরুজ অবন্তিকাই শুধু নন, অসংখ্য নারী শিক্ষার্থী আছেন ক্যাম্পাসে, যারা নিয়মিত শিক্ষক-সহপাঠীদের কাছে যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন। শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রক্টর অফিস একটা টর্চার সেল। এখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিকার এবং নিরাপত্তার জন্য এলেও তাদের বারবার নানা ভয়ভীতি এবং হেনস্তা করে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে আম্মান সিদ্দিকী। দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার খ মহিদ উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার আম্মান ও দ্বীন ইসলামের খন্ডিত সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তবে এ সংশ্লিষ্টতার গভীরতা কতখানি, সেটা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। মহিদ উদ্দিন আরও বলেন, অবন্তিকার মা বাদী হয়ে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এ মামলায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে দুজনকে (আম্মান ও দ্বীন ইসলাম) আসামি করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিদের কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তদন্ত কীভাবে শুরু করা হবে তার রোডম্যাপ করা হয়। সভা শেষে অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। আমাদের উদ্দেশ্য প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা।

সর্বশেষ খবর