মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের

হাফসেঞ্চুরি করতে রিশাদ হোসেনের দরকার তখন ২ রান। জিততে দলের প্রয়োজন ৩ রান। বল বাকি ১০ ওভার। খুবই সহজ সমীকরণ। ২ রান নিলেই বাংলাদেশের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়বেন রিশাদ। একই সঙ্গে ২০২১ সালের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দ্বিতীয়বার সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ। এমন সহজ সমীকরণের ম্যাচে ক্রিজে মুশফিকুর রহিম। ৪১ নম্বর ওভারে মাহিশ থিকশানার প্রথম বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মুশফিক। দ্বিতীয় বলটিও রক্ষণাত্মক মেজাজে খেলেন। কিন্তু বল ব্যাটের কানায় লেগে থার্ড ম্যান দিয়ে সীমানা পার হয়ে যায়। ওই বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয় পায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয়বার সিরিজ জেতে। তবে আফসোসের ব্র্যাকেটে বন্দি হয়ে থাকেন রিশাদ। তার পরও ১৮ বলে ৪৮ রানের যে টর্নেডো ইনিংস খেলেছেন লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার, তখনো বল বাকি ছিল ৫৮টি। দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ডটি গড়তে না পারলেও ম্যাচসেরা হয়েছেন রিশাদ। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো নাজমুল হোসেন শান্ত হয়েছেন সিরিজ-সেরা। সিরিজের প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতেছিল ৬ উইকেটে। পাথুম নিশাঙ্কার সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয়টি ৩ উইকেটে জেতে সিরিজে সমতা আনে সফরকারী শ্রীলঙ্কা। গতকাল তৃতীয়টি জেতে বাংলাদেশ। যদিও শ্রীলঙ্কার জানিথ লিয়ানাগে সেঞ্চুরি করেন। এখন দুই দল খেলবে দুই টেস্ট ম্যাচ সিরিজ। প্রথম টেস্ট সিলেটে ২২-২৬ মার্চ এবং দ্বিতীয় টেস্ট চট্টগ্রামে ৩০ মার্চ-৩ এপ্রিল। এর আগে শ্রীলঙ্কা টি-২০ সিরিজ জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।

নাজমুল শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই প্রথম সিরিজ জিতল। সিরিজ         জয়ের ম্যাচটি রিশাদের টর্নেডো ব্যাটিং ও তাসকিনের বিধ্বংসী বোলিংয়ের জন্য বাড়তি আকর্ষণ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু সব ফোকাস টেনে নিয়েছে ইনজুরি ও ‘কনকাশন সাব’ পদ্ধতি। সিরিজের আগের দুটি ম্যাচ ছিল দিবারাত্রির। গতকাল হয়েছে দিনের আলোয়। ম্যাচে প্রথম ব্যাটিংয়ে জানিথ লিয়ানাগের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ২৩৫ রান করে শ্রীলঙ্কা। লিয়ানাগে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছক্কায়। তাসকিন ৩ উইকেট নেন এবং ২টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি মিরাজ। ২৩৬ রানের টার্গেটে নাজমুল বাহিনী খেলা শেষ করে ৪০.২ ওভারে। ৫৮ বল হাতে রেখে সহজ জয়ের কারিগর তানজিদ তামিম ও রিশাদ। ওপেনার সৌম্য সরকারের ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে খেলতে নামা তানজিদ তামিম ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন ৮১ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায়। ফিল্ডিংয়ের সময় বাউন্ডারি রোপে আটকা পড়ে বিলবোর্ডে পরে যান মাথায় ব্যথা পান সৌম্য। তার জায়গায় ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে সুযোগ পান তানজিদ তামিম। বাংলাদেশের ক্রিকেট হিসেবে প্রথম ‘কনকাশন সাব’ ক্রিকেটার তাসকিন। ২০২১ সালে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের কনকাশন হিসেবে ফিল্ডিং করেছিলেন তাসকিন। লিটন দাসের ছন্দহীনতায় হঠাৎ সুযোগ পান জাকের আলি অনীক। ক্যাচ ধরার সময় এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে আঘাত পান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পানিশূন্যতায় মাঠের বাইরে চলে যান মুস্তাফিজুর রহমান। পানিশূন্যতায় পুরো ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে পারেননি রিচার্ড ক্যাটেলবারো। তার পরিবর্তে আম্পায়ারিং করেন তানভীর।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর