মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
ধর্ষণকাণ্ডে আন্দোলন

জাহাঙ্গীরনগরের প্রক্টরের পদত্যাগ

জাবি প্রতিনিধি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সম্প্রতি সংঘটিত গণধর্ষণ ও বিভিন্ন সময়ে নিপীড়নের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে অভিযুক্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসেবে পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে সাময়িকভাবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিকেলে জাবির রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ. স. ম. ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত পদত্যাগপত্রের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। তিনি ১৮ মার্চ তারিখ অপরাহ্ন হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের এ দায়িত্ব পালন করবেন। পাশাপাশি তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন বলে অফিস আদেশে বলা হয়।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনার পর থেকে জাবিতে দায়িত্ব অবহেলা ও নিপীড়কদের সহায়তার অভিযোগ তুলে প্রক্টর ফিরোজ-উল-হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অব্যাহতিসহ ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘নিপীড়ন বিরোধী মঞ্চ’। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১০ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন তারা। সর্বশেষ ১৩ মার্চ অবরোধের তৃতীয় দিনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের আশ্বাসে অবরোধ সাময়িক স্থগিত করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ওইদিন উপাচার্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলাপকালে আশ্বাস প্রদান করে বলেন, প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ যদি স্বেচ্ছায় ১৭ মার্চের মধ্যে পদত্যাগ না করে তাহলে তাদেরকে ১৮ মার্চের মধ্যে বিশেষ ক্ষমতাবলে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। এদিকে প্রক্টরের অব্যাহতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, ধর্ষণের ঘটনার দায়ে প্রক্টরের অব্যাহতিকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলমেরও অব্যাহতি চেয়েছিলাম। কারণ, আমরা মনে করি ধর্ষণের ঘটনায় তার দায় রয়েছে। এ ছাড়া, হলের ভিতরে টর্চার সেল থাকা, মাদকের আসর বসা প্রভৃতির জন্য প্রাধ্যক্ষ দায় এড়াতে পারেন না।

সর্বশেষ খবর