শিরোনাম
মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ওপারে মর্টার বিস্ফোরণ, ১৩ গ্রামে আতঙ্ক

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গত তিন দিন থেমে থেমে গোলাগুলি চললেও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটেনি। কিন্তু রবিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার মধ্যেই বেশ কয়েকটি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এপারের টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি গ্রাম। রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডু টাউনশিপের কিছুটা উত্তরে নাকপুরা এলাকায় হঠাৎ রাতে মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। তবে গতকাল রাত ১০টার পর থেকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত আর বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাননি সীমান্তে বসবাসকারীরা।

নাকপুরা এলাকার বিপরীতে (নাফ নদেও এপারে) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইনপল্লী চৌধুরীপাড়া ও ফুলের ডেইল গ্রাম। রাতে আধা ঘণ্টার মধ্যেই কয়েকটি মর্টার শেলের বিকট শব্দে এপারের লোকজনের মনে আতঙ্ক তৈরি হয় বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এত দিন রাত ও দিনে দুইপক্ষের মধ্যে লড়াই চলেছে। উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলি, মর্টার শেল, গ্রেনেড বোমা করা হয়েছে। তাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে মংডু টাউনশিপের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, গত ছয় দিন মংডুর আশপাশের গ্রামগুলোতে দিনের বেলায় গোলাগুলি-মর্টার শেল নিক্ষেপের শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে রাতের বেলায় কয়েকটি গ্রামে থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যেত। কিন্তু গত রাতে হঠাৎ একসঙ্গে কয়েকটি মর্টার শেলের বিস্ফোরণ এপারের লোকজনকে ভাবিয়ে তুলেছে। সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় আরাকান আর্মি স্থলপথে নাকপুরা এলাকার বিজিপি সেক্টর ঘিরে ফেলে এবং হামলা চালায়। এরপর বিজিপি সদস্যরাও পাল্টা জবাব দেয়। তখন রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মর্টার শেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, আরাকান আর্মির অবস্থানের ওপর মর্টার শেলগুলো নিক্ষেপ করে জান্তা বাহিনী। টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাফেজ এনামুল হাসান বলেন, রাতের বেলায় বিকট শব্দের মর্টার শেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া, চৌধুরীপাড়া, সাইটপাড়া, হাঙ্গারডেইলসহ অন্তত ১৩টি গ্রাম। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর