ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, বাজারে অনিয়ম বা সিরিয়াল ট্রেড করছেন অনেকে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। ব্যাংকের তারল্য সংকটে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। এজন্য অনেকে ফোর্স সেল করছেন। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভীতি তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে অধ্যাপক আবু আহমেদ আরও বলেন, শেয়ারবাজারে কারেকশন হচ্ছে বিভিন্ন কারণে। লিজিং কোম্পানির শেয়ারে মানুষ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ নেই। পাওয়ার সেক্টরেও সরকার আগের মতো সুবিধা দিচ্ছে না। কাঠামোগত এসব সমস্যা সমাধান না হলে স্থিতিশীল শেয়ারবাজার পাওয়া যাবে না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থাও ফেরানো যাবে না। আবু আহমেদ বলেন, ব্যাংক সুদের হার বেড়ে সাড়ে ১১ শতাংশ হয়েছে। এখন মানুষ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করলে যে মুনাফা পাবে ব্যাংকে এফডিআর বা বন্ডে বিনিয়োগ করলে বেশি মুনাফা পাবে। বড় বড় ইনভেস্টর, মার্চেন্ট ব্যাংকার, অ্যাসেট ম্যানেজার তারা তাদের টাকা বন্ড ও এফডিআরে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাজার কারেকশনের সময় আইসিবি কোথায় সাপোর্ট দেবে? উল্টো তারাই এখন শেয়ার বিক্রি করছে। কীভাবে বাজার ধরে রাখবে? আইসিবির কোনো টাকা নেই। তারা নেট সেল করে খালি। এই যে এ খাতে তারল্য সংকট, এটাই মূল কারণ। দেখতে হবে এখন শেয়ারগুলোর পেছনে কত টাকা ছুটছে, এ টাকার সরবরাহ তো কমে গেছে। তাহলে শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন হবে না তো কী হবে? বাজারে আস্থার সংকট রয়েছে। তবে বাজার সব সময় তো একরকম থাকে না। মাঝেমধ্যে এ রকম হয়, আবার এখান থেকে বেরিয়ে আসে। এগুলো থাকবেই শেয়ারবাজারে। আশা করি প্রত্যেকে যদি ভালো শেয়ার কিনে রাখতে পারেন, সবার কাছে যদি ভালো শেয়ার থাকে, তাহলে তারা অপেক্ষা করবেন, আলটিমেটলি আবার ওই রেট ক্রস করবে।