বুধবার, ২০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
হাই কোর্টকে আইনজীবী

রফিকের দুর্নীতি তদন্তের আবেদন দুদকের বিবেচনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

রফিকের দুর্নীতি তদন্তের আবেদন দুদকের বিবেচনায়

রফিকুল ইসলাম

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তের জন্য করা আবেদন দুর্নীতি দমন কমিশনের বিবেচনাধীন রয়েছে। ওই আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানিতে গতকাল আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন দুদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহীন আহমেদ। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের শুনানি হয়। পরে আদালত এ বিষয়ে শুনানি মুলতবি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. ইয়ামিন নেওয়াজ খান ও একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।

আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর শামস গত ২৬ নভেম্বর ‘রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন দুর্নীতি, বিক্রীত জমির দলিল বন্ধক রেখে প্রতারণার মাধ্যমে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণপূর্বক অর্থ আত্মসাৎ ও জাল জালিয়াতির বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ’ করতে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে একটি আবেদন দেন। এ আবেদনের অনুলিপি বাংলাদেশ ব্যাংকেও দিয়েছেন তিনি। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে রিট করেন। রিটে রফিকুল ইসলামের দুর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।

আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রংধনু গ্রুপের কর্ণধার রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে মানুষের সঙ্গে যে প্রতারণা করেছেন, অনিয়ম করেছেন, জাল জালিয়াতি করেছেন- এই মর্মে একটি মানবাধিকার সংগঠনের চিফ অ্যাডভাইজর ড. সুফি সাগর শামস দুদকে একটি আবেদন দেন বিষয়গুলো তদন্তের জন্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সাড়া না পেয়ে হাই কোর্টে জনস্বার্থে রিট করেছেন। শুনানিতে দুদক আদালতের কাছে এক মাস সময় চেয়েছেন। আবেদনটি তাদের কনসিডারে (বিবেচনায়) আছে। কোর্ট তখন আফটার ভ্যাকেশন (রমজান ও ঈদের ছুটির পর) শুনানির জন্য রেখেছেন।

দুদকের আইনজীবী শাহীন আহমেদ জানান, একটি মানবাধিকার সংগঠন এ রিট আবেদনটি করেছেন। তাদের পক্ষ থেকে দুদকের কাছে একটি আবেদন দিয়েছেন রিটের নয় নম্বর বিবাদীর (রফিকুল ইসলাম) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করে/তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। রিটে এসে বলেছেন, দুদক কোনো কাজ করে না। শুনানিতে আমি বলেছি এটা দুদকের আন্ডার কনসিডারেশনে (বিবেচনাধীন) আছে। দুদক এটার ওপর কাজ করছে। আমি অলরেডি এ বিষয়ে দুদককে চিঠি দিয়েছি।

রিট আবেদনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংকিং বিভাগের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট), ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, ফার্স্ট সিকিউরিট ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামকে বিবাদী করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর