বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভারতীয় পণ্য বর্জনে সংহতি বিএনপির

চাদর ছুড়ে ফেললেন রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতীয় পণ্য বর্জনে সংহতি বিএনপির

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় পণ্য বর্জনের যে ঢেউ দৃশ্যমান, তাতে মনে হয় দেশের বিশাল জনগোষ্ঠী ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান গ্রহণ করেছে। সুতরাং জনগণের দল হিসেবে বিএনপিসহ ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে। তিনি বলেন, ভারত গণনিপীড়ক-হন্তারক-মাফিয়া সরকারকে প্রকাশ্যে মদদ ও সমর্থন দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ এখন একটি ভারতীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বার্থ ও মর্যাদার পরিপন্থি। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তবে আপত্তি ভারতের শাসকদের পলিসি ও নীতি নিয়ে। তাই দলমত নির্বিশেষে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। আওয়ামী লীগ নয়, ১৮ কোটি মানুষের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের ভূমিকায় ভারতকে ফিরে আসার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন রিজভী। সেখানে তিনি একটি ভারতীয় শীতকালীন চাদর ছুড়ে ফেলে দেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জনগণের ভোটাধিকার হরণ, গণতন্ত্র হত্যা এবং বিনা ভোটে অবৈধ ক্ষমতার অমরত্ব লাভের অপচেষ্টায় প্রতিবেশী ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ও মদদের স্বীকারোক্তি প্রদান করে জোরগলায় বক্তৃতা দিচ্ছেন। কথায় কথায় প্রায় সব মন্ত্রী ভারত বন্দনায় মত্ত হচ্ছেন। তাদের কথাবার্তা ও আচার-আচরণে মনে হচ্ছে বাংলাদেশ এখন ভারতের স্যাটেলাইট রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। রিজভী বলেন, মন্ত্রীদের অকপট স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে যে, জাতিসংঘ সনদের ২ (৪) ধারা সরাসরি লঙ্ঘন করে ভারত আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটাধিকার সব কিছুর ওপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপ করে চলেছে। ২ (৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে সব সদস্য-রাষ্ট্র আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোনো রাষ্ট্রের রাজনৈতিক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ, ভীতি প্রদর্শন থেকে এবং জাতিসংঘের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন কোনো উপায় গ্রহণ করা থেকে নিবৃত্ত থাকবে’। আওয়ামী লীগ নেতাদের কথায় স্পষ্ট যে, ভারত এ নীতি লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে দাসখত দিয়ে ক্ষমতায় থাকছে। আওয়ামী লীগের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকেও এখন ডামি রাষ্ট্র মনে হয়।

সর্বশেষ খবর