টানা সপ্তমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় নাম লিখিয়েছে ফিনল্যান্ড। অন্যদিকে আগের বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পিছিয়েছে। এ তালিকায় একেবারে তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান। গতকাল বিশ্বের সুখী দেশ নিয়ে বার্ষিক এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত জরিপ প্রতিবেদনে এবার অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৪৩টি দেশকে। গত বছর ১৩৭টি দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের প্রতিবেদনে সুখী দেশের তালিকায় ১৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১১৮তম। ২০২২ সালে ছিল ৯৪তম। সে হিসাবে সুখী দেশের কাতারে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ১১ ধাপ পিছিয়েছে। আগের বছর পিছিয়েছিল ২৪ ধাপ। সুখী দেশের তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০১২ সালের ১২ জুলাই, ২০ মার্চকে আন্তর্জাতিক সুখ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। প্রতিবছর এ দিবসের প্রাক্কালে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। এবারও প্রকাশ করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪’। আগের মতো এ বছরও সুখী দেশের তালিকায় ওপরের দিকে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে ফিনল্যান্ড ছাড়াও রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। এসব দেশের অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ। সুখী দেশ হিসেবে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইসরায়েলের নাম। এ ছাড়া নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তালিকায় যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে। তবে বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি এবার প্রথম ২০টি সুখী দেশের তালিকায় স্থান পায়নি। এ বছর দেশ দুটির অবস্থান যথাক্রমে ২৩তম ও ২৪তম। বিপরীতে, প্রথম ২০টি দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে কোস্টারিকা (১২তম) ও কুয়েত (১৩তম)। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মধ্যে নেপালের অবস্থান ৯৩তম, পাকিস্তানের ১০৮তম, মিয়ানমারের ১১৮তম, ভারতের ১২৬তম ও শ্রীলঙ্কার ১২৮তম এবং আফগানিস্তানের অবস্থান ১৪৩তম।