সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথিসহ চার আসামিকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। অন্য আসামিরা হলেন শাকিলা রওশন, মৌসুমী চৌধুরী ফাতেমা ও জাকির হোসেন মাসুদ। যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান বুলু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

মামলার দ্বিতীয় আসামি বিএনপি-জামায়াতপন্থি নীল প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাই কোর্ট। গতকাল বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইয়াসমিন বিথী। এর আগে ১৮ মার্চ তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেছিলেন ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোরশেদ আলম। এরপর তিনি হাই কোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ৯ মার্চ রাজধানীর পল্টনে নিজ চেম্বার থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরদিন শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করলে তাঁকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষে ১৪ মার্চ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেদিনই মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা কেন্দ্র করে ৭ মার্চ রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকীকে মারধরের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় পরদিন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এস আর সিদ্দিকী সাইফকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় এ মামলাটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ আইনজীবীকে আসামি করা হয়।