শিরোনাম
শুক্রবার, ২২ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে সারা বিশ্বে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্রব্যমূল্য বাড়ছে সারা বিশ্বে

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, দ্রব্যমূল্য শুধু বাংলাদেশে নয় বরং বিশ্বের সবখানেই বাড়ছে। ক্ষেত্রবিশেষ বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বাড়ছে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী। জিল্লুর রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স¥রণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ, ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রমুখ। ফারুক খান বলেন, সারা বিশ্ব, সব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান স্বীকার করে নিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির এ অবস্থার মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জিল্লুর রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল ও দেশের প্রতি তাঁর আনুগত্য ছিল অপরিসীম। ১/১১-এর সময়ে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল তখন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাঁকে যখন কোর্টে নেওয়া হয় তখন সেখানে আমিও ছিলাম।

তখন তিনি আমাকে ডেকে দুটি কথা বললেন, জিল্লুর রহমান সাহেবকে সভাপতি বানিয়েছি, তাঁকে অনেকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, আপনি তাঁর সঙ্গে থাকবেন। আর দল যাতে কোনোভাবে না ভাঙে। তিনি আরও বলেন, ২০০৭ সালে আমরা বিপদের সময় একত্র ছিলাম। জাতির ক্রান্তিলগ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকলেই এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়ে যায়নি। বিএনপি-জামায়াত আমাদের পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিল্লুর রহমান সাহেব ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তার নম্রতা ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি কোনো কিছুই জাহির করতেন না। যা করতেন কর্তব্যের তাগিদে করতেন। যখন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীকে গ্রেফতার করে নিয়ে গেল তখন জিল্লুর ভাইয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করতাম। তখনই তিনি বলেছিলেন, আন্দোলনটা করতে হবে। জিল্লুর রহমানের মতো মানুষ বারবার আসেন না। তিনি বিরল গুণসম্পন্ন মানুষ ছিলেন। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করার মানসিকতা ছিল তাঁর মধ্যে। তিনি উচ্চকণ্ঠে কথা না বললেও একটা সভায় সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারতেন।

সভায় ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান প্রয়াত জিল্লুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের সার-সংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, জিল্লুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধিকারের আন্দোলনের প্রত্যেকটি স্তরেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে গেছেন। কৃষিমন্ত্রী মো. আবদুস শহীদ বলেন, জিল্লুর রহমান খুবই ধীরস্থির প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁকে বিশ্বাস করে যখন দলের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়ে গেলেন তখন তিনি দলের ক্ষতি হবে এমন কিছুতে একটুও প্রশ্রয় দেননি।

সর্বশেষ খবর