সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিএনপির ইফতারে ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি

অহিংস আন্দোলন চলবে : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

কূটনীতিকদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। গতকাল হোটেল ওয়েস্টিনে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতারে অংশগ্রহণ করায়  কূটনীতিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ইফতারে ৩৮টি দেশের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন ল্যাফেইব, পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নার্দির সিম্পসন, জার্মান অ্যাম্বাসাডর আখিম ট্রোসটার ও ভারতীয় হাইকমিশনারের প্রতিনিধি। স্বাগত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল কূটনীতিকদের বলেন, অধিকার ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে আমরা গভীরভাবে মূল্যায়ন করি। এর মধ্য দিয়ে প্রকৃতভাবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে। যতদিন পর্যন্ত আমরা এটা অর্জন করতে না পারি, ততদিন জনগণের শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন চলবে। বাংলাদেশ গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। বিশ্ববাসী জানেন, গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিএনপি গভীরভাবে অবহিত। গণহত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে উল্লেখ করেন যে, দুই রাষ্ট্রের কৌশলেই এ সংকটের সমাধান হতে পারে। মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ গভীরভাবে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকাল অতিক্রম করছে। রাষ্ট্র আবারও ফ্যাসিবাদী শাসনের কবলে পড়েছে। বিশ্ববাসী জানেন, গত ৭ জানুয়ারি যা হয়েছে, তা কোনো নির্বাচন নয়। বরং জাতির গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অপমান করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের জয়নুল আবদিন ফারুক, ফজলে এলাহী আকবর, আবদুল কাইয়ুম, ফরহাদ হালিম ডোনার, সুজা উদ্দিন, ইসমাইল জবিউল্লাহ, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শামা ওবায়েদ, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জহির উদ্দিন স্বপন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কায়সার কামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর