বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৮ মার্চ। মেয়াদ শেষের মুহূর্তে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিয়োগের পক্ষে-বিপক্ষে চিকিৎসকরা অবস্থান নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে চলছে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। গত শনিবার উপাচার্যপন্থি দুই চিকিৎসককে মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ক্যাম্পাসজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সবধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করা হলো। বিএসএমএমইউয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, মিছিল-মিটিংসহ নানা কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। এ ছাড়া চারজন চিকিৎসককে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়েছে। গত শনিবার উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকরা। এতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা। তখন ক্ষুব্ধ চিকিৎসকেরা উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী ডা. মো. রাসেল আহমেদকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে উপাচার্যের দফতর থেকে বের করে দেন। এ ছাড়া বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. রসুল আমিন শিপনকে মারধর করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।