সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
সোমালিয়ায় জাহাজ ছিনতাই

ঈদের আগে মুক্তির চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

ঈদের আগেই বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিক ও জাহাজকে মুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশন। এরই মধ্যে দস্যুদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপও শুরু করেছে। মালিকপক্ষ আশা করছে দ্রুত সময়ের মধ্যেই এমভি আবদুল্লাহর সমস্যার সমাধান হবে।

কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নাবিকদের অক্ষত  অবস্থায় উদ্ধার করার ওপর জোর দিচ্ছি। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আলাপ আলোচনা শুরু করেছি আমরা। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে জিম্মিদশার অবসান হবে। তবে এখনো কোনো ধরনের মুক্তিপণ দাবি করেনি সোমালিয়ান জলদস্যুরা।’ জানা গেছে, ভারত মহানগর থেকে ছিনতাই করা আবদুল্লাহর জিম্মি সমস্যার অবসান করতে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করেছে এসআর শিপিং করপোরেশন। তবে আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে কবির গ্রুপের মিজানুল ইসলাম বলেছেন, জাহাজের ইউকেভিত্তিক বিমাকারী পিঅ্যান্ডআই ক্লাব পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। জলদস্যুরা এখনো ফার্ম বা তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। আমাদের ফার্ম জলদস্যুরা যোগাযোগ করার সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে সব ব্যবস্থা নিয়েছে। এদিকে এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ান জলদস্যুরা ভূমিতে এবং সাগরে চাপে রয়েছে। ছিনতাই করা জাহাজ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে ইইউ নেভাল ফোর্স। তাদের ‘অপারেশন আটলান্টার’ একটি যুদ্ধজাহাজ আবদুল্লাহকে কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। ভূমির সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে অভিযান শুরু করেছে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ। এরই মধ্যে আবদুল্লাহ জাহাজে দস্যুদের জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিয়োজিত একটি গাড়ি আটক করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন, যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জাহাজটি চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং করপোরেশনের।  ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ। এরপর আর কোনো যোগাযোগ হয়নি।

সর্বশেষ খবর