মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিস্ফোরণে কাঁপল টেকনাফ সীমান্ত

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি (জান্তা) বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে আবার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে সীমান্তের ওপার থেকে গতকাল ভেসে এসেছে ভারী বিস্ফোরণের শব্দ। এ জন্য বারবার কেঁপে উঠেছে এপারের টেকনাফ সীমান্ত এলাকা।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, ওপার থেকে মর্টার শেল ও গুলির শব্দ ভেসে আসছে। মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের উত্তরের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে গত রবিবার রাত ১০টা থেকে গতকাল ভোররাত পর্যন্ত থেমে থেমে শতাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মর্টার শেল, গ্রেনেড ও বোমার পাশাপাশি আকাশে যুদ্ধবিমান উড়তেও দেখা গেছে। সূত্র জানায়, নাফ নদের তীরে টেকনাফের হ্নীলা ও হোয়াইক্যং সীমান্তের ১৩টি গ্রাম এবং পাশের আলীখালী, লেদা, নয়াপাড়া, শালবাগান ও জাদিমোরা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির থেকে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

যতিও ভোররাতের পর এ শব্দ কমতে থাকে। সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, মংডু টাউনশিপের উত্তরে কাওয়ারবিল, নাকপুরা, বলিবাজার, পেরাংপুরুসসহ কয়েকটি গ্রামে রাতে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়েছে। টানা দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে মংডু টাউনশিপের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের রাচিডং টাউনশিপসহ ১০টির বেশি থানা দখলে নেয় আরাকান আর্মি। সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে টিকতে না পেরে সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১৭৭ জন বিজিপি সদস্য। সবাই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) হেফাজতে রয়েছে। হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী ও হোয়াইক্যং ইফপির চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ রবিবার রাত ১০টা থেকে ওপারে মর্টার শেল ও গ্রেনেডের বিস্ফোরণ শুনতে পাওয়া গেছে। তাতে এপারের হ্নীলা ইউনিয়নের রাখাইনপল্লী চৌধুরী পাড়া, ফুলের ডেইল, পুরানবাজার, ওয়াব্রাং, মৌলভীবাজার, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী, নয়াবাজার, মিনাবাজার, কাঞ্জর পাড়া, ঝিমংখালী, উনচিপ্রাং, লম্বাবিলসহ অন্তত ১৩টি গ্রামে এমন বিস্ফোরণে ভেসে এসেছে। রাত ৩টা পর্যন্ত এমন ১২১টির বেশি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান এপারের লোকজন। টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদে ও সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত নতুন করে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।

সর্বশেষ খবর