বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে যা বলল জাতিসংঘ

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতির বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, এ দিনটিকে নিয়ে আমাদের অন্তরাত্মা বাংলাদেশের মানুষের মতোই আর্তনাদ করে। ১৯৭১ সালে গণহত্যার শিকারদের আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি। এজন্য মানুষের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তাও আমরা স্মরণ করছি। তবে এ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে রেজ্যুলেশন উত্থাপন করতে হবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে ফারহান হক বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘের নিজস্ব কোনো ভূমিকা নেই। তবে অবশ্যই আমরা গভীরভাবে সহানুভূতি জানাচ্ছি একাত্তরের শহীদের স্বজনের প্রতি। অপর প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে। এ বিষয়ে ফারহান হক বলেন, আমি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশ সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যকার বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে চাই না। আমি মনে করি মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যক্রমকে নির্বিঘ্নে চলতে দেওয়া এবং তাদের বক্তব্য শোনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে গত ১৮ বছরের মতো এবারও একাত্তরের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে জাতিসংঘ সদর দফতরের সামনে র‌্যালি করেছে ‘জেনোসাইড একাত্তর ফাউন্ডেশন’। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান ড. প্রদীপ কর র‌্যালিতে বলেন, জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আশ্বস্ত করেছেন, সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ যদি বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে তাহলে হয়তো তা পাস হবে। এজন্য প্রবাসীদের সোচ্চার থাকতে হবে। র‌্যালির সময় একাত্তরের গণহত্যার চিত্রসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ‘ওয়াল ম্যাগাজিন’ প্রদর্শনী করা হয়-যা ভিনদেশী পথচারীদের দৃষ্টি কেড়েছে। র‌্যালি থেকে মহাসচিব বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ র‌্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবদুর রহিম বাদশা, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, হাকিকুল ইসলাম খোকন, রশেম চন্দ্রনাথ, জালালউদ্দিন জলিল, আকতার হোসেন, অ্যাডভোকেট শাহ মো. বখতিয়ার, রীনা আবেদীন প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর