চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে সড়কপথে দেশে ফিরেছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগুয়েল ওয়াংচুক। গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে স্থলবন্দরের বিশেষ ইমিগ্রেশন শেষে ভারত হয়ে ভুটানের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। এর আগে ১২টার দিকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে আকাশপথে সৈয়দপুর বিমানবন্দর পৌঁছান ভুটানের রাজা। সেখান থেকে সড়কপথে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউস হয়ে ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাধবরাম এলাকায় ভুটানের জন্য নির্মিত বিশেষ অর্থনৈতিক  অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন। সেখানে ১৫ মিনিট অবস্থানের পর সড়কপথে সোনাহাট স্থলবন্দরে যান। গত সোমবার ঢাকায় পৌঁছান ভুটানের রাজা। সফরসঙ্গী ছিলেন তার স্ত্রী রানি জেৎসুন পেমাসহ রাজ পরিবার ও মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ভুটানের সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাজাকে দেওয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। গত জানুয়ারির নির্বাচনে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর। ঢাকায় অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন জিগমে খেসার। এরপর দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা সই ও একটি চুক্তি নবায়ন করা হয়। বাংলাদেশ থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করার চুক্তিও হয়েছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হবে এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা করবে দুই দেশ। পরদিন মঙ্গলবার মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজা। বুধবার পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন রাজা। তার সফরে এসব স্থান ঘুরে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার প্রশংসা করেন। কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জানান, গতকাল সোনাহাট স্থলবন্দরে ভুটানের রাজাকে বিদায় জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ এ আরাফাত, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. হামিদুল হক খন্দকার, বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি, বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।