শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৪ ০০:০০ টা
পুলিশের গুলিতে তরুণ হত্যা

নিউইয়র্কে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা

লাবলু আনসার, যুক্তরাষ্ট্র

নিউইয়র্কে ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা

নিউইয়র্কে মা ও ছোট ভাইয়ের সামনে পুলিশ বাংলাদেশি তরুণ উইন রোজারিওকে (১৯) গুলি করে হত্যা করায় প্রবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নিউইয়র্ক অঞ্চলের সবচেয়ে বৃহৎ সংগঠন ‘বাংলাদেশ সোসাইটি’ এ হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশি আচরণের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।

এদিকে ৩২ ঘণ্টা পরও উইন রোজারিওকে হত্যার ফুটেজ প্রকাশ না করায় ক্ষোভের মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। কমিউনিটি থেকে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ এবং সিটি প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতার নিন্দা জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় ২৮ মার্চ উইনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবাকে সান্ত্বনার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা। কমিউনিটির বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্ষুব্ধ মানুষও উইনের বাবা ফ্রান্সিস রোজারিওর সঙ্গে সাক্ষাৎ বা টেলিফোন করে সমবেদনা জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা এ হত্যায় জড়িত পুলিশ অফিসারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

ফ্রান্সিস রোজারিও দম্পতি যে চার্চে নিয়মিত যাতায়াত করেন সেখানকার কর্মকর্তা ডা. টমাস দুলু রায় বলেন, ‘যথাযথ তদন্ত করে এ হত্যার মোটিভ উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তি দাবি করছি।’ উইনের ছোট ভাই উৎস রোজারিও বলেন, উইন এমন কোনো আচরণ করেনি যাতে সরাসরি তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে। ঘটনা নিয়ে পুলিশের দাবিও মিথ্যা। তাদের বডি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটিত হতে পারে।

এ ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সেদিন ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়ে উইনকে হত্যার মতো কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেনি। অথচ ঠান্ডা মাথায় দুজন পুলিশ অফিসার উইনকে গুলি করে হত্যা করেছেন।’ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী মানসিক অস্থিরতার কারণে উইনকে তারা জাপটে ধরে রেখেছিলেন। অর্থাৎ উইনের হাতে কাঁচি থাকলেও সেটি দিয়ে কিছু করার সুযোগ ছিল না। তা ছাড়া একটি কাঁচি দুজন পুলিশ অফিসারের জীবন বিপন্নও করতে পারে না। প্রসঙ্গত, গত দুই মাসে নিউইয়র্ক সিটিতে পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছে উইন হলো তাদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি। ফেব্রুয়ারিতে কুইন্সের রকোওয়েতে এবং গত সপ্তাহে ব্রুকলিনে দুই ব্যক্তিকে পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছিল। জানা গেছে, উইনের লাশ স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের মর্গেই ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

সর্বশেষ খবর