বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ২টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতরাতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা দ্রুত ছুটে যান গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা তাঁকে রাতেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন রাত ১টা ২০ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  এরপর রাত আড়াইটায় গুলশানের বাসা থেকে গাড়িতে করে হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা করেন।

এর আগে ২৭ মার্চ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে চিকিৎসকরা তাঁকে বাসায় রেখেই দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টা চালানোর পর কিছুটা উন্নতি হয়। ফলে সেদিন আর তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এর আগে ১৩ মার্চ এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৪ মার্চ গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই অসুস্থতার মধ্যে রয়েছেন। করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেয়ে বাসায় ফেরেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার হাসপাতালে যান।

গত বছরের ২৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স হাসপাতালের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে আসেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য। তাদের চিকিৎসা শুরুর পরই খালেদার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে শুরু করে। সে যাত্রায় হাসপাতালে ১৫৬ দিন থেকে ১১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে কিছুদিন বিরতি দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারির শুরুতেও শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যান তিনি।