সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

যশোরে ৫২ বিএনপি নেতা-কর্মী কারাগারে

আত্মসমর্পণ করে কারাগারে সোহেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর ও ঢাকা

নাশকতার তিন মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫২ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে এ তিন মামলায় এসব নেতা-কর্মী হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। সেই জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গতকাল সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমিতের নেতৃত্বে জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৬৪ নেতা-কর্মী যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। বয়স ও অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে বিচারক শেখ নাজমুল আলমসহ ১২ জনের জামিন মঞ্জুর করেন। বাকি ৫২ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বিএনপি নেতা হাজী      আনিছুর রহমান মুকুল জানান, কেন্দ্রীয় নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ছাড়াও কারাগারে পাঠানো অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যশোর নগর বিএনপির সাবেক সেক্রেটারি মুনীর আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, জেলা যুবদল সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিবুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।

আত্মসমর্পণ করে কারাগারে বিএনপি নেতা সোহেল : রাজধানীর পল্টন থানার দুই ও নিউমার্কেট থানার এক মামলায় সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার পৃথক দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম ও মো. আক্তারুজ্জামানের আদালত তিন মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে জামিন নামঞ্জুর করে সোহেলকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ বিষয়ে সোহেলের আইনজীবী ও বিএনপির সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ বলেন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে পল্টন থানার পৃথক দুই মামলায় দুই বছর করে চার বছর ও নিউমার্কেট থানার এক মামলায় দেড় বছরের সাজা দিয়েছিলেন আদালত। ওই তিন মামলায় আজ (রবিবার) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন তিনি। এরপর আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। আমরা জজ আদালতে আপিল করে এসব মামলায় জামিন চাইব। জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবরে ও ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে পল্টন থানায় নাশকতার দুটি মামলা হয়। ২০২৩ সালে এ দুই মামলায় তাকে চার বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নিউমার্কেট থানার আরেক মামলায় গত বছরে তাকে দেড় বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর