মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
আখতারুজ্জামান

অনুসন্ধান করতে হবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনুসন্ধান করতে হবে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের কারণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) আখতারুজ্জামান এমপি বলেছেন, বুয়েটে (বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়) কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল না। হঠাৎ করে কেন দীর্ঘ সময়ের জন্য কর্তৃপক্ষ রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল তার কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আখতারুজ্জামান বলেন, যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি সাময়িক বন্ধ থাকতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ থাকতে পারে না। এর পেছনে আবেগ কাজ করেছে, নাকি কোনো রাজনীতি কাজ করেছে তা ভালোভাবে সরকারকে অনুসন্ধান করতে হবে। তিনি বলেন, সারা দেশের মেধাবী ছাত্রছাত্রী বুয়েটে ভর্তি হয়। এই মেধাবীরা রাজনীতিতে না এলে রাজনীতি মেধাশূন্য হবে।

ডাকসুর সাবেক জিএস ও ভিপি আখতারুজ্জামান প্রশ্ন রেখে বলেন, মেধাবীদের যদি রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হয় তাহলে দেশের কল্যাণ করবে কারা। বুয়েট সংবিধানের বাইরে? তারা রাজনীতি করবে না? মেধাবীরা মেধার রাজনীতি করবে। তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্রসমাজের বড় ভূমিকা ছিল। ছাত্রনেতারা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন, সচেতন করেছেন। ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানের পর সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছে ছাত্রনেতারা। আন্দোলন গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে দিয়েছে তারা। ছাত্রসমাজের ওপর মানুষ আস্থা পেয়েছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনে মহান নেতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতার সঙ্গে আদর্শিক ছাত্ররাজনীতির করা নেতারা জড়িত ছিলেন বলেই স্বাধীনতা আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই ছাত্ররাজনীতির বড় একটা ইতিহাস রয়েছে। সেই রাজনীতির সুযোগ দিতে হবে। তিনি বলেন, কোনো ঘটনা ঘটলে বা অনাকাক্সিক্ষত কিছু হলে সাময়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ, রাজনীতি বা সভা-সমাবেশ বন্ধ করা যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ থাকবে সেটা হতে পারে না। এর পেছনে নিশ্চয় কারণ আছে। গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে গতকাল মহামান্য আদালত যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। রাজনৈতিক সংগঠন ও এর কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা যুগান্তকারী রায় বলে মনে করি। বুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের অধিকার আদায়ের জন্য অবিলম্বে ক্যাম্পাসে স্বাধীন মত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ছাত্ররাজনীতি উন্মুক্ত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই।

সর্বশেষ খবর