মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
সংসদ নির্বাচন

আওয়ামী লীগের খরচ ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যয় দেখিয়েছে পৌনে ৩ কোটি টাকা তথা ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। পোস্টার, জনসভাসহ প্রচারের নানা খাতে আড়াই শতাধিক প্রার্থীর পেছনে আওয়ামী লীগ এই ব্যয় দেখিয়েছে।

নির্বাচনের দুই মাস পর গতকাল নির্বাচন কমিশনে এই ব্যয় বিবরণী জমা দিয়েছে দলটি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, দলটির সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয় করার সুযোগ ছিল। এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলটি খরচ দেখিয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখ টাকা। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রার্থী অনুপাতে দলগুলোর ৭৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ কোটি টাকা নির্বাচনি ব্যয়ের সুযোগ ছিল। ৫০ জনের কম প্রার্থী হলে ৭৫ লাখ টাকা, ৫০-১০০ প্রার্থী হলে দেড় কোটি টাকা, ১০১-২০০ প্রার্থী হলে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১ প্রার্থীর বেশি হলে সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে আইনে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল এবারের ভোটে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গিয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের কাছে ব্যয় বিবরণী জমা দেন। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাফর উল্লাহ বলেন, আমাদের সাড়ে ৪ কোটি টাকা ব্যয়ের সীমা ছিল। তার থেকে ব্যয় কম হয়েছে।

দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোট নির্বাচনি ব্যয় ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৮ হাজার ১২০ টাকা। প্রার্থীরা নিজ থেকে ব্যয় করে। তাই আমাদের ব্যয় কম হয়। পুরো ব্যয়টা দলীয় হয় না। অন্য দলের যেখানে ১০ টাকা লাগে, সেখানে আমাদের দুই টাকা লাগে। পোস্টার, জনসভা, প্রচার ইত্যাদি খাতে ব্যয় হয়েছে।

৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছিল ২৬৬ আসনে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে দলীয় নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দিতে কয়েক দিন আগে তাগিদ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। ৭ জানুয়ারি ভোটের পর ৯০ দিন অর্থাৎ ৭ এপ্রিলের মধ্যে দলীয় নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, নিবন্ধিত দল হিসেবে আমরা প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিই। সোমবার নির্বাচনি ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। আয়ের বিবরণী বার্ষিক অডিট রিপোর্টে দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদের মধ্যে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, অর্থ পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য জাফরুল শাহরিয়ার জুয়েল, সংস্কৃতি উপকমিটির সদস্য নুরুল আলম পাঠান উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর