শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোঝাপড়ার কিছু নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোঝাপড়ার কিছু নেই

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেছেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোঝাপড়ার কিছু নেই। অভিযান চালিয়ে ওদের দমন করতে হবে। তিনি বলেন, বান্দরবানে ডাকাতির ঘটনায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়াবহ দুর্বলতার চিত্র ফুটে উঠেছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর আত্মসমর্পণ, কোনো ধরনের আক্রমণে না যাওয়া দুর্বলতার লক্ষণ। জেনারেল শিকদার শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত আলাপে অভিমত ব্যক্ত করছিলেন। মোহাম্মাদ আলী শিকদার বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থানের ঘটনা নতুন নয়। এই কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মির সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ২০২২ সালে মাথা চাড়া দেয়। এ ছাড়া কিছু দলছুট গ্রুপ যারা চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী করে। একই সঙ্গে শান্তিচুক্তিবিরোধী ইউপিডিএফসহ কয়েকটি দল সন্ত্রাসী কাজ করে বেড়ায়। এ অঞ্চলে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী ও ডাকাতির কর্মকাণ্ড নতুন নয়, অনেক দিন থেকে হয়ে আসছে। এ ধরনের ঘটনায় নিরাপত্তার হুমকি সব সময় ছিল। তা সত্ত্বেও সোনালী ব্যাংকে আক্রমণ হলো, আনসারসহ নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিল। তারা একটা ফায়ার করতে পারেনি। তার অর্থটা হলো, এ ধরনের ঘটনায় কী করতে হবে তা নিরাপত্তা বাহিনীর জানা ছিল না। নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাছে ধরাশয়ী। যেহেতু এ ধরনের ঘটনা বিভিন্ন সময় ঘটছে, সেখানে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ নিরাপত্তা বাহিনীর প্রয়োজন। এ ধরনের ঘটনা হলে কে কী করবে বা কে কোন পর্যায়ে অবস্থান নেবে বা কী অস্ত্র ব্যবহার করবে এর সুনিদিষ্ট বর্ণনা থাকবে। এদের এ ধরনের অনুশীলন করা আছে কি না আমার জানা নেই। যদি না থেকে থাকে তাহলে দুর্বলতা। আর যদি অনুশীলন থেকেও ওরা করেনি তাহলে বড় ধরনের দুর্বলতা।

তিনি বলেন, রুমার ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পর থানচিতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল। নিরাপত্তার মৌলিক বিষয় হলো- একটি ঘটনা কোথাও ঘটলে একই রকম স্থানগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা। কিন্তু আমরা কী দেখলাম, রুমার একদিন পর থানচিতে ডাকাতি করে তারা নির্বিঘ্নে চলে গেল। থানচি ব্যাংকের ঘটনার ১০০ মিটারের মধ্যে পুলিশ ফাঁড়ি ও বিজিবির ক্যাম্পও ছিল। সেখান থেকে কোনো রি-অ্যাকশন পাওয়া গেল না। এর অর্থ তাদেরও কোনো প্রস্তুতি ছিল না। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এসব দেখে শুনে বুঝে আক্রমণ করেছে। তিনি আরও বলেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অনেক দিন থেকে ঘটছে। এ জন্য আমাদের সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে বোঝাপড়ার দরকার নেই। কারণ তাদের অবস্থান সর্বোচ্চ এক শতাংশ হবে। অভিযান চালিয়ে তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। বাংলাদেশের এই ভূখণ্ড থেকে তাদের বিতাড়িত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর