শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
কংগ্রেসের ইশতেহার

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতির প্রতিশ্রুতি

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারতের জাতীয় কংগ্রেস ২০২৪ সালের লোকসভা (সংসদের নিম্নকক্ষ) নির্বাচনের জন্য গতকাল ইশতেহার বা ‘ন্যায়পত্র’ প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের সদর দফতর আকবর রোডে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীসহ শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘একটা ধারণা তৈরি করা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সহজেই লোকসভায় জিতবে। বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।’ তিনি বলেন, ২০০৪ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির সরকারের সময় বলা হয়েছিল, ‘ভারত উদয়’ স্লোগানের কারণে বিজেপি ৩০০ আসনে জয়ী হবে। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট কোয়ালিশন সরকার তৈরি করেছে। রাহুল বলেন, বিরোধী নেতাদের জেলে পুরলেও বিজেপি ১৮০’র বেশি আসনে জিতবে না। লোকসভায় মোট আসন ৫৪৩টি। যে দল ২৭২ আসন জিতবে, তারাই সরকার গঠন করবে।

জাতীয় কংগ্রেসের ইশতেহারকে এবার ‘ন্যায়পত্র’ বলার কারণ তারা এবার সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জন্য কল্যাণকর প্রকল্প চালু করার গ্যারান্টি দিচ্ছে। মূল পাঁচটি ন্যায় গ্যারান্টি। এগুলো হলো : যুব ন্যায়, নারী ন্যায়, কৃষক ন্যায়, শ্রমিক ন্যায় ও বাগীদারি ন্যায়। কংগ্রেস দল ক্ষমতায় এলে ৩০ লাখ শূন্য সরকারি পদ পূরণ করবে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। ন্যূনতম মজুরি ভাতা হবে ৪০০ রুপি; যা এখন ১০০ রুপি। নগদবিহীনভাবে ২৫ লাখ রুপি পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা চালু হবে। কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্য দেওয়ার আইন প্রবর্তন হবে।

কংগ্রেস দল প্রত্যেক নাগরিকের ব্যক্তিস্বাধীনতা সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তারা তাদের পছন্দমতো পোশাক পরবে এবং খাদ্য খাবে। সংস্কৃতি পালন করবে। সম্প্রতি ভারতের কয়েকটি প্রান্তে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন খাদ্যাভ্যাস বা পোশাকের জন্য আক্রান্ত হয়েছে। সে কারণেই এ আশ্বাস। এ ছাড়া প্রত্যেক ধর্মের মানুষের নিজ নিজ ধর্মাচার পালনের অধিকার থাকবে। বিজেপি যে অভিন্ন বিধি চালু করতে চায়, তার বিকল্প নীতি হিসেবে কংগ্রেস বলেছে, সব ধর্মের সম্মতি নিয়েই ব্যক্তিগত আচরণবিধি তৈরি হবে। জোর করে কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। পররাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে কংগ্রেস বলেছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করা হবে। বিশেষ করে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করা হবে। এ দুই দেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে জনবহুল। মিয়ানমারে সব জাতির মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় কংগ্রেস উদ্যোগ নেবে।

 

সর্বশেষ খবর