মুন্সীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে পুলিশের সামনে সোহরাব খান (৬০) নামের ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহত সোহরাব খানের ছেলে জনি খান (৪২) গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দিঘীরপাড় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত সোহরাব খান দিঘীরপাড় এলাকার মৃত নুর মোহাম্মদ খানের ছেলে। তিনি দিঘীরপাড় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার দিকে সোহরাব খান হেঁটে যাওয়ার সময় মূলচর গ্রামের ভোলা মেম্বারের ছেলে রিজভী ও তার সঙ্গের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করে সোহরাব খানকে। এ সময় বাবা সোহরাব খানকে বাঁচাতে জনি খান এগিয়ে এলে তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। নিহতের ছোট ভাই মিজান খান বলেন, দিঘীরপাড় তদন্ত কেন্দ্রের একেবারেই সামনে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। কাছেই পুলিশ ছিল কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। এক রকম পুলিশের সামনে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় তার ভাইকে। তিনি আরও দাবি করেন, এ ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোল্লা সোয়েব বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে। সোহরাব খানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
