এশিয়া মহাদেশের ৪৬ দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি বাংলাদেশে, ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি পাকিস্তানে, ২৫ শতাংশ। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রকাশিত ইকোনমিক আউটলুকে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, এশিয়ায় বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি নিয়ে পাকিস্তানের পেছনে, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাকিস্তান রয়েছে জিডিপি তালিকার তলানির দিকে। পাকিস্তান এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল দেশে পরিণত হবে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি থাকলেও বাংলাদেশ মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) অর্জনেও বেশ ভালো করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক’ বা ‘এশিয়ায় উন্নয়ন পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়ার ৪৬টি দেশের মধ্যে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতিই সর্বোচ্চ। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের দিক থেকে দেশটি এশিয়ায় নিচের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে আছে। ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির সদর দফতর থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি হবে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। যদিও সরকারের লক্ষ্য ৫ দশমিক ৫ শতাংশে আটকে রাখার। ঢাকাসহ শহরাঞ্চল ও গ্রামে বসবাসকারী মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় প্রায় সমান। কেননা শহর ও গ্রামে মূল্যস্ফীতির চাপও প্রায় সমান। এডিবির পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই অঞ্চলের অন্য দেশগুলোয় এ বছর মূল্যস্ফীতি শ্রীলঙ্কায় ৭ দশমিক ৫ শতাংশ, নেপালে ৬ দশমিক ৫, ভারতে ৪ দশমিক ৬, ভুটানে ৪ দশমিক ৫ ও মালদ্বীপে ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে এবার ভারতে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ, বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ দশমিক ১ শতাংশ, মালদ্বীপে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, ভুটানে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও নেপালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে বলে মনে করে এডিবি।