শিরোনাম
রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব হুবহু মিলে যাচ্ছে

ড. নাজমুন নাহার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব হুবহু মিলে যাচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুন নাহার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পুরো বিশ্বের ওপর আসছে। কয়েকদিন আগে দুবাইয়ে যে নজিরবিহীন বৃষ্টিপাত হলো, বন্যা হলো, এমন ঘটনা তাদের ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি। দুবাই একটা শুষ্ক এলাকা হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের বন্যা সেখানে হওয়ার কথা নয়। পরিবেশের বিপর্যয়ের কারণে এটা হয়েছে। আবহাওয়ার যেসব বিরূপ আচরণ দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব হুবহু মিলে যাচ্ছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাবে গরম বা শুষ্ক এলাকা আর্দ্র হবে। আর্দ্র এলাকা চেঞ্জ হয়ে শুষ্ক হবে। সেই রকম উদাহরণ আমরা দুবাইয়ে পেলাম। এ ছাড়া দেখা গেল সেখানে বড় বড় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনা দুবাইয়ের ইতিহাসে নেই। আবার আমরা বাংলাদেশে বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই তীব্র তাপমাত্রা অনুভব করছি। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটাও ক্লাইমেট চেঞ্জের প্রভাব। বাংলাদেশে আর্দ্রতা এবং উষ্ণ দুটোই থাকবে। এখন দেখা যাচ্ছে আর্দ্রতা কমে উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে। সিজনের শুরুতেই এই তাপপ্রবাহ চলছে। সামনের সময়ে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। তখন তো টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে যাবে। নাজমুন নাহার বলেন, হিটস্ট্রোকে অনেক মানুষের প্রাণহানির ঘটনাও ঘটতে পারে। যা হচ্ছে তা জলবায়ু পরিবর্তনের ফল। তবে জলবায়ুর এই পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী নয়। বাংলাদেশ এমন দূষণ করছে না যে এর এত প্রভাব এখানে পড়বে। জাপান, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া, চায়নার মতো উন্নত দেশগুলো যাদের অনেক বেশি ইন্ডাস্ট্রি আছে তারাই পরিবেশ দূষণের জন্য মোটা দাগে দায়ী। এর প্রভাব তারা বাড়াচ্ছে, কিন্তু এর প্রভাব তাদের ওপর সেভাবে পড়ছে না। উপকূলীয় এলাকা বা নিচু এলাকায় এর প্রভাব বেশি পড়ছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত বেশি হচ্ছি আমরা। বাংলাদেশ সাগর থেকে মাত্র ১০ মিটার উচ্চতায় রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাস হলে বিশাল অংশ ডুবে যাবে। আমরা অল্প দূষণ করছি অথচ এর প্রভাব আমাদের ওপর বেশি পড়ছে। এর কারণ আমাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থান।

সর্বশেষ খবর