সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

র‌্যামপেজ ক্ষেপণাস্ত্রে যেভাবে ইরানে হামলা

প্রতিদিন ডেস্ক

র‌্যামপেজ ক্ষেপণাস্ত্রে যেভাবে ইরানে হামলা

ইরানের ইস্পাহান শহরে হামলার বেশ কয়েকদিন পর ইসরায়েল স্বীকার করেছে, ওই হামলায় ‘র‌্যামপেজ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ইরানকে দেখানো যে- এ ক্ষেপণাস্ত্র ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম। টাইমস অব ইসরায়েল, রয়টার্স, বিবিসি।

খবরে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনী কোনো জঙ্গিবিমানের মাধ্যমে ইরানের আকাশসীমার বাইরে থেকে ইস্পাহান শহরে পারমাণবিক স্থাপনার রাডার লক্ষ্য করে ওই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এ হামলায় ব্যবহার করা আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রটি দৃশ্যত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফাঁকি দিতে সক্ষম। বাঙ্কারের মতো সুরক্ষিত স্থাপনায় হামলা চালাতে র‌্যামপেজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের ওজন ৫০০ কেজি। ইরানের নাতাঞ্জ পারমাণবিক স্থাপনার কাছে হামলা চালাতে উচ্চ প্রযুক্তির এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এতে ইস্পাহানের বিমানঘাঁটির একটি প্রতিরক্ষাব্যবস্থা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে নাম প্রকাশ না করে ইরানের কর্মকর্তাদের বরাতে নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, বিমানঘাঁটিতে ওই হামলা ছাড়াও ইস্পাহানের প্রায় ৫০০ মাইল উত্তরে তাবরিজ এলাকা লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে এ হামলা নস্যাৎ করা হয়েছে। হামলার ব্যাপারে দুজন পশ্চিমা কর্মকর্তা বলেন, হিসাবনিকাশ করে এ হামলা চালানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, ইরানকে এই বার্তা দেওয়া যে অশনাক্ত থেকেই ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে ইসরায়েল এবং সেগুলোকে অচল করে দিতে পারে। উল্লেখ্য, এ হামলা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত ছিল ইসরায়েল। অন্যদিকে হামলার ঘটনাকে ইরানও তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না।

চটেছেন নেতানিয়াহু : ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) একটি ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হারেৎজ বলছে, আইডিএফের নেতজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতির তথ্য নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। এই ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে পশ্চিমতীরে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কোনো ইউনিট। বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর অন্যান্য ইউনিট ও পুলিশের বিরুদ্ধেও মার্কিন প্রশাসন একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে হারেৎজ। নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে ব্যাটালিয়নটি মার্কিন বাহিনীর কোনো সহায়তা পাবে না। ব্যাটালিয়নটির সদস্যরা মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে  কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবে না। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সহায়তায় চলা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও তাদের বিরত রাখা হবে।

এদিকে নেতজাহ ইয়েহুদার ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার খবরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিরা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেন, ‘আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অবশ্যই উচিত হবে না। ইসরায়েলের নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রুখতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় কাজ করেছি আমি। এ নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর