সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা
মিয়ানমার বাহিনীর গুলি

নাফ নদে দুই বাংলাদেশি জেলে গুলিবিদ্ধ

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদে মিয়ানমারের নৌ-বাহিনীর  ছোড়া গুলিতে বাংলাদেশি দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরা হলেন, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ দক্ষিণ পাড়া এলাকার  মোহাম্মদ ফারুক (২৫) ও মাঝের পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল (২০)। গুলিবিদ্ধ জেলেরা সাগরে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা  শেষে নাফ নদ দিয়ে ঘাটে ফিরছিলেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে এদের মধ্যে ফারুকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, সেন্টমার্টিন সংলগ্ন সাগরে মাছ ধরা শেষে শাহপরীরদ্বীপ ঘাটে ফিরছিলাম। এ সময় নাইক্ষ্যংদিয়া সংলগ্ন অংশে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একটি জাহাজ আমাদের অতিক্রম করছিল। ওই জাহাজ থেকে হঠাৎ আমাদের ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে আমার দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মাঝি ইউসুফ আরও বলেন, আমরা নাফ নদের বাংলাদেশের জলসীমায় ছিলাম এবং হাত উঁচু করে, বাংলাদেশি পতাকা দেখিয়ে তাদের গুলি না করতে ইশারা করছিলাম। এরপরও তারা গুলি করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়ার জলসীমানায় মিয়ানমারের ওপার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এতে দক্ষিণ পাড়ার ফারুকের হাতে ও পায়ে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ আরেক জেলে ইসমাইল সামান্য আহত হয়। টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ গুলিবিদ্ধ জেলেদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওপারে মাছ শিকারে গিয়ে জেলেরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরও বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছি। পাশাপাশি সীমান্তের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত আছে বলে জানিয়েছেন বিজিবির এ কর্মকর্তা।

টেকনাফ সীমান্ত সুরক্ষিত : কোস্টগার্ড মহাপরিচালক : এদিকে গতকাল সকাল থেকে কোস্টগার্ডের টহল চলে নাফ নদে। টহল পরিদর্শন করেন কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এ সময় তিনি বলেন, টেকনাফ সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী সীমানায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে প্রায়শই মিয়ানমারের  সেনা, বিজিপি এবং বেসামরিক সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশের  চেষ্টা করছে। এরই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নাফ নদে এবং তৎসংলগ্ন এলাকা ও অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় অত্যাধুনিক হাইস্পিড বোট ও টহল জাহাজের মাধ্যমে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়মিত টহলের মাধ্যমে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। কোস্টগার্ডের কর্মতৎপরতা পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে গতকাল দুপুরে  টেকনাফের নাফ নদ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন মহাপরিচালক বাংলাদেশ কোস্টগার্ড রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর