সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৪ ০০:০০ টা

আইনজীবী ফোরাম থেকে খোকনকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দফতর সম্পাদক মো. জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। চিঠিতে শনিবার (২০ এপ্রিল) থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের কথা উল্লেখ আছে।

গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী  জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচন কেন্দ্র করে হট্টগোল, মারধর, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। বিএনপিপন্থি আইনজীবী ফোরাম ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফলের অভিযোগ করে। এ ঘটনায় বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আসামি করে মামলা হয়, গ্রেফতার করা হয়। এ পরিস্থিতিতে বিজয়ী সভাপতি পদ ছাড়া আরও তিনজন সদস্যকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমিতির এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ না করার আহ্বান জানায়। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া তিনি  ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এ ফোরাম। এর প্রেক্ষাপটে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। অব্যাহতির চিঠিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলছে, যে নির্বাচনে তাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে আওয়ামীপন্থিদের  ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে মাহবুব উদ্দিনকে সভাপতি পদে এবং ফাতিমা আকতার, মো. শফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে নামমাত্র সদস্যপদে বিজয়ী দেখানো হয়। এ পরিস্থিতিতে গত ২৪ মার্চ খোকনসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী  ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতা, উপদেষ্টামন্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদকদের এক যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, খোকনসহ ফোরামের বিজয়ী বাকি তিন সদস্য সুপ্রিম  কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকবেন। এ আহ্বান জানিয়ে গত ২৭ মার্চ তাদের চিঠি দেওয়া হয়। সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যপদে বিজয়ী ঘোষিত তিনজন দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। কিন্তু সংগঠনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে খোকন ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এ ছাড়া তিনি একই দিন এক মতবিনিময় সভায় কিছু লোককে দিয়ে দল ও দলের দায়িত্বশীল নেতাদের বিষোদ্গার করিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে আইনজীবী ফোরামের শীর্ষনেতাদের সম্পর্কে অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। সংগঠনের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলে  ঘোষণা করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খোকনের এসব কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে ফোরাম। সর্বসম্মতভাবে তাকে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর