সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছে। গতকাল বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায় (স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটা) জাহাজটি নোঙর করে।
কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘রবিবার বিকালে জাহাজটি আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছে। রাতেই জাহাজ বন্দরে বার্থিং করা রয়েছে। এ বন্দর থেকে আরেকটা চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে এ জাহাজ।’
জানা যায়, গতকাল স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে এমভি আবদুল্লাহ আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নোঙর করে। রাতেই কয়লা খালাসের জন্য বন্দর জেটিতে বার্থিং করার কথা রয়েছে। ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা খালাসের পর আরেকটা চালান নিয়ে জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করবে। জাহাজটি কবে চট্টগ্রামে ফিরবে তা নির্ভর করছে আল হামরিয়া বন্দরে পণ্য লোড-আনলোডের ওপর। জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আল হামরিয়া বন্দর থেকে সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী এবং জেনারেল স্কোয়াড মোহাম্মদ নুর উদ্দিন জাহাজ থেকে নেমে যাবেন। তারা উড়োজাহাজে করে দেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন নাবিক জাহাজে করেই চট্টগ্রাম বন্দরে আসবেন। ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে জাহাজ চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হবে। এস আর শিপিংয়ের ২৪টি জাহাজ বহরের একটি এমভি আবদুল্লাহ। ২০১৬ সালে তৈরি এ বাল্ক ক্যারিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। ড্রাফট ১১ মিটারের কিছু বেশি। গত বছর চট্টগ্রামভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং জাহাজটি কিনে নেওয়ার আগে এটির নাম ছিল গোল্ডেন হক। মালিকানা পরিবর্তনের পর জাহাজের নামও পরিবর্তন করা হয়। নতুন নাম রাখা হয় এমভি আবদুল্লাহ। গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।