বান্দরবানের রুমায় ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মামলা ও ‘কেএনএফ’ সংশ্লিষ্টতায় আরও সাতজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। এদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রুমা শাখার সভাপতি ভান নুন নোয়াম বম (৩৩) রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সোমবার রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ রুমা শাখার সভাপতি ছাড়াও মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লালমিন বম (৫০) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক বমকে (২৩) আটক করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের রুমা থানায় এবং গতকাল বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরান আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে রুমা ও থানচির তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মামলায় ৭৮ জনকে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী। এদিকে রুমা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতিকে গ্রেফতারের পর সংগঠনের গঠনতন্ত্রবিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সভাপতি ভান নুন নোয়াম বমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং হাই সিং পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।কে এন এ সদস্যের লাশ হস্তান্তর : বান্দরবানে সোমবার যৌথবাহিনীর অভিযানে রুমার মুনলাই পাড়ায় নিহত ‘কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ এর সদস্যের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রুমা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজাহান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গতকাল দুপুরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের পর চাচার কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শেষ হয়।
সোমবার রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে গোলাগুলিতে ‘কেএনএ’ সদস্য লালরেম রোয়াত নিহত হয়। সেসময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।